আমাদের পোলট্রি শিল্পের সাথে নিবিড়ভাবে মানুষের সম্পর্ক রয়েছে। দেশীয় ফিড মিলগুলো মান সম্পন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করে বিশ্বমানের পোলট্রি ফিড উৎপন্ন করে। বিশ্বমানের খাবার পেলে খামারী পোলট্রিকে ভেজাল খাবার খাওয়াবে কেন?
আমাদের দেশের আমাদনিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের খ্যাতনামা কোম্পানি থেকে উন্নতমানের কাঁচামাল সংগ্রহ করে। ফিডমিলগুলো তাদের নিজস্ব ল্যাবে কাঁচামালের গুণগতমান যাচাই করে পোলট্রি, মৎস্য ও পশু খাদ্য তৈরি করে।
দেশে মানুষের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় পোলট্রি, ডিম ও মাংস পাওয়া যায়। ডিম সস্তা হলেও ডিমের পুষ্টিগুণ অনেক। ডিমের উপকারিতা চতুর্মুখী।
এক প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, “আমি নিজে প্রতিদিন সকালে ডিম দিয়ে নাস্তা করি এবং এমন কোন দিন নেই যে, আমি ব্রয়লার মাংস খাই না। সুতরাং গণমানুষের এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে ডিম ও ব্রয়লার মাংস খেতে হবে।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. হক বলেন, “আমাদের প্রাণিসম্পদ বিভাগ কাজ অনেক, কিন্তু লোকবল কম। আমরা রাত-দিন পরিশ্রম করে আমরা কতটুকু কাজ করতে পারছি। তার মধ্যে থেকে আমাদের কাজের স্বীকৃতি থাকা দরকার।”
ফার্মের ব্যবস্থাপত্র এন্টিবায়োটিক লেখা, খামারে এর ব্যবহার এবং মোবাইল পরিচালনায় ভেটেরিনারি ডাক্তারদের অতিউৎসাহী দেখা যায়-এমন প্রশ্নের উত্তরে জনাব হক বলেন-, “আমরা যারা ভেটেরিনারি ডাক্তার, তাদের ক্ষমতা কতটুকু তা জানা দরকার। আমাদের সেবার মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। খামারী ফিডমিল মালিক ও হ্যাচারি মালিকদের কাছে শাসক ও শোষক হিসেবে পরিচিত হতে চাই না।”
তিনি বলেন, “বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৫৫টি লেয়ার খামার আছে। ৮০ লাখ লোক ডিম খায়। বাৎসরিক চাহিদা ২০ কোটি ডিমের। বাহিরের জেলা থেকে ডিম এনে চট্টগ্রামের মানুষের চাহিদা পূরণ করা হয়।”
বাজারের পোলট্রি জবাইখানা মানসম্পন্ন নয়-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সপ্তাহে দু’বার জীবানুমুক্ত রাখার জন্য দোকানীর সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছি। মূল কথা হচ্ছে প্রাণিজ আমিষ লাগবেই।”
তবে গুণ-মানে ভালো এবং সস্তায় মেলে পোলট্রি ডিম ও মাংস। এদেশের মানুষ পোলট্রির সাথেই থাকবে এ আশাবাদ প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম জেলা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের।
লেখক: ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন