দিন যত যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে তামাকের চাষ। গতবছরের তুলনায় এবছর বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলায় তামাকের চাষ হয়েছে ব্যাপকভাবে । এমনকি ক্ষতিকর এই তামাক চাষ ঠেকাতে কোন পদক্ষেপই কাজে আসছে না ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন স্থানীয় সচেতন মানুষরা। ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় উচ্চমুল্যের ফসল তামাককেই বেছে নিয়েছেন কৃষকরা।
এই অঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, ধানসহ বিকল্প ফসলের ন্যায্য মুল্য পেলে তারা আর তামাকের চাষ করবেন না। যেহেতু ধান সহ অন্যান্য ফসলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য তার পাচ্ছেন না তাই তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
তামাকের এই বিস্তর ক্ষেতের চিত্র উত্তরের জনপদ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ সবর্ত্রই।
কৃষকরা বলছেন, তামাকজাত কোম্পানীগুলো শুধু সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করছে না, সাথে দিচ্ছেন বেশি দামে তামাক কেনার নিশ্চিয়তা। তাই লাভের আশায় করেছেন তামাক চাষ।
তামাকের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, শিশুরা কাজ করছেন তামাক ক্ষেতে। এতে শিশুরা শুধু স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পরছে না, বাধাগ্রস্থ হচ্ছে তাদের লেখাপড়ারও।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, লালমনিরহাটে এবার মোট তামকের চাষ ৯ হাজার হেক্টরের বেশি জামিতে। যা গেল বছরের প্রায় সমান। কালীগঞ্জ থানার দলগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ দলগ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তামাক চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। গতবারের তুলনায় এবছর আদিতমারি ও কালিগঞ্জে তামাকের আবাদ বেড়েছে বলে স্বীকার করেন লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষন রায়।
অন্যান্য ফসলে ন্যা্য্যমূল্য পেলে তামাক আবাদ থেকে সরে আসতে চান, লালমনিরহাটের কৃষকরা। গেল বছর লালমনিরহাটে তামাকের চাষ হয়েছিল ৯ হাজার ৭ হেক্টর জমিতে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৩ফেব্রু২০২০