বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম ৩ মাসের সর্বনিম্নে

490

বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম ৩ মাসের সর্বনিম্নে

বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের চাহিদা কিছুটা কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে দামের ওপর। চলতি মাসে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের বাণিজ্য বা জিডিটির প্রথম নিলামে মূল্যসূচক গড়ে দশমিক ৫ শতাংশ কমে প্রতি টনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৬৭ মার্কিন ডলার, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের সবচেয়ে বড় নিলামে মূল্যসূচকের এ পরিবর্তন ঘটে। খবর রয়টার্স ও ফার্ম অনলাইন।

প্রতি মাসে দুবার বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের বাজার নিয়ে সবচেয়ে বড় এ নিলাম বসে। নিউজিল্যান্ডের ফন্টেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ এ নিলামের আয়োজন করে। বিশ্বের বড় বড় সব দুগ্ধপণ্য প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নেয়। সম্প্রতি এ মাসের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নিলামে ১৭৯ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান যোগ দেয়। যার মধ্যে ১৩৫ জন সর্বোচ্চ দামে দুগ্ধপণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হন। সর্বশেষ এ নিলামে মোট ৩৬ হাজার ২৫৮ টন দুগ্ধপণ্য বিক্রি হয়েছে। যেখানে এর আগের নিলামে বিক্রি হয় ৩৭ হাজার ৯৬৮ টন। সে হিসাবে এবারের নিলামে দুগ্ধপণ্যের বিক্রি কমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

জিডিটি নিলাম তথ্য অনুযায়ী, এ সময় নির্জলা দুধের মূল্যসূচক কমেছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। মাখনের মূল্যসূচক কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এ দুটি পণ্যের মূল্যসূচকের বড় পরিবর্তনের ফলে গড় মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য দুগ্ধপণ্যের দাম এ সময় ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

সর্বশেষ নিলামে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ। যদিও এটির দাম না কমলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ সময় ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের মূল্যসূচক শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বাড়ে। তবে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের মূল্যসূচক এ সময়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।

জিডিটি তথ্য অনুযায়ী, এবারের নিলামে প্রতি টন ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৩১ ডলারে। যেখানে ননিবিহিন গুঁড়ো দুধের প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৬৮ ডলারে। রেনেট কেসেনের মূল্যসূচক ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৪৭ ডলারে। পনিরের মূল্যসূচক ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৭ ডলারে।