ব্রয়লার মুরগি পালনে নিমপাতার ব্যবহার

755

ব্রয়লার মুরগি পালনে নিমপাতার ব্যবহার আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাপকহারে ব্রয়লার পালন করা হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির পালনে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন আবার কেউ কেউ লোকসান করছেন। ব্রয়লার পালনে সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুরগির রোগ। তবে ভেষজ উপায়ে এসব রোগ নিরাময় করা যায়। আজকের এই লেখায় আমরা জানবো ব্রয়লার মুরগি পালনে নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে-

ব্রয়লার মুরগি পালনে নিমপাতার ব্যবহারঃ
ব্রয়লার মুরগি পালনে নিমপাতা ব্যবহারের ফলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ব্রয়লার খামারের জন্য নিমপাতা প্রস্তুতিঃ

ব্রয়লার মুরগির খামারে নিমপাতা ব্যবহারের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম নিমপাতা নিয়ে ১ লিটার ফুটন্ত গরম পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর সেই পানির পাত্রটি চুলায় বসিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হালকা আঁচে উত্তাপ দিতে হবে। এর পরে পানির রং হালকা সবুজাভ বাদামী হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে পাত্রটিকে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হওয়ার পরে সেই পানিগুলো একটি বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে।

ব্যবহারের নিয়মঃ

ব্রয়লার খামারে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৪০ গ্রাম (২ গ্রাম ১ লিটার হিসেবে) নিমের রসের সাথে গুঁড় বা চিনি ২০ লিটার সাদা পানির সাথে মিশ্রিত করে ব্রয়লার মুরগিকে খাওয়াতে হবে।

ব্রয়লার মুরগিকে নিমপাতা খাওয়ানোর উপকারিতাঃ

১। ব্রয়লার মুরগিকে নিমপাতার রস খাওয়ালে মুরগির পেটের বিভিন্ন সমস্যায় উপকারে আসে। ব্রয়লার মুরগিকে নিমপাতা খাওয়ানোর ফলে মুরগির পায়খানা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হয়ে যায়। মুরগির পায়খানা সবুজ বা অন্য কোন রংয়ের হলেও এই রস খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

২। ব্রয়লার মুরগিকে নিয়মিত নিমপাতার রস খাওয়ালে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩। নিম পাতার রস কৃমি ও জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। টানা তিন দিন এই দ্রবণ ব্যবহার করতে হবে সকালে। এই দ্রবণ দেয়ার পূর্বে ৩০ মিনিট আগে পানি বের করে নিতে হবে।

৪। ব্রয়লার মুরগিকে নিম পাতার রস খাওয়ালে সেটি লিভার টনিকের কাজ করে থাকে।

৫। নিম পাতার রস ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক হিসেবেও কাজ করে থাকে।

৬। ব্রয়লার খামারে নিমপাতার রসকে এন্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

সতর্কতাঃ

১। নিমের মিশ্রন ১০ দিনের পরে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

২। ভ্যাক্সিনেশন করার দিন এই দ্রবণ খাওয়ানো বা বাতাসে স্প্রে করা যাবে না।

৩। স্প্রে করার সময়ে তুষ যেন অতিরিক্ত না ভিজে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য গরমের দিনে স্প্রে করা ভালো।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৮মার্চ২০২১