ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষে লাভবান নওগাঁর এগ্রো খামারীরা

470

black-Qoune
নওগাঁ : জেলায় অসময়ে জাংলায় বা মাচানে ভারতীয় ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কৃষিভিত্তিক একটি ব্যক্তিগত খামার। স্বাদে এবং রং-এ উৎকৃষ্টমানের হওয়ায় বাজারে এ তরমুজের চাহিদাও রয়েছে বেশ।

ঢাকা গাজীপুরে অবস্থিত কৃষিভিত্তিক খামার ‘আল আমীন এগ্রো’ নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী এলাকায় জেলখানার পূর্ব দেয়াল ঘেঁষে দুই বিঘা জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে এ বছর প্রথম ভারতীয় ব্ল্যাক কুইন জাতের এ তরমুজ চাষ করেছে।

আল আমীন এগ্রো খামারের ম্যানেজার কৃষিবিদ আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ওই দুই বিঘা জমি প্রতি বছর ১৫ হাজার টাকা হিসেবে ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছরের জন্য লিজ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই জমিতে জাংলা দিয়ে গত বছর ২২ এপ্রিল সেখানে তরমুজের চারা রোপণ করা হয় এবং চারা রোপণের ঠিক দুই মাস এক দিন পর ২৩ জুন প্রথম বার তরমুজ উত্তোলন করা হয়। এ দুই মাসের মধ্যে প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই কেজি থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়েছে। এ তরমুজের বাহির কুচকুচে কালো হলেও ভিতরে টকটকে লাল এবং মিষ্টি।

উল্লেখিত জমি থেকে প্রথম বার প্রায় দেড়শ মণ তরমুজ উৎপাদিত হয়। জমি থেকেই নওগাঁ’র তরমুজ ব্যবসায়ী যোবায়ের আহম্মেদ প্রতি মণ ১ হাজার ৪শ টাকায় অর্থাৎ ৩৫ টাকা কেজি হিসেবে ক্রয় করেন।

এ হিসেবে প্রথবারেই উত্তোলিত ১৫০ মণ তরমুজের বিক্রি মূল্য ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। কয়েকদিন পর আরও কিছু তরমুজ উত্তোলন করা হবে। চারা ক্রয়, পরিচর্যা, জাংলা বা মাচান তৈরি কর্মচারীদের বেতনসহ মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ দুই মাসে একবার তরমুজ উত্তোলন করেই নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৯০ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় বারে উত্তোলিত তরমুজ কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। সব মিলিয়ে এ জমি থেকে দুই মাসে তরমুজ চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করা সম্ভব। এ জমিতে চলতি বছর আরও একবার অনুরুপ তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব এবং তাড়াতড়ি তরমুজের চারা রোপণ করা হবে। দ্বিতীয় বার তরমুজ উৎপাদন করে একই জমিতে অন্য কোন লাভজনক ফসল উৎপাদন করবে ওই এগ্রো খামার। খামার কর্ত্তৃপক্ষ আশা করছেন বছরে এ জমি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ৩ লক্ষাধিক টাকা আয় করতে সক্ষম হবে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানিয়েছেন তিনি এ তরমুজ চাষের খবর শুনেছেন। ভারতীয় ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ লাভজনক। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।