পুলেটের জীবনের ১৮-২০ সপ্তাহ বয়সকে ডিম পাড়ার পূর্বপ্রস্তুতি বা প্রি-লেইংপিরিয়ড বলে। এ বয়সের মধ্যেই যদি ফ্লকের কোনো পুলেট আন্ডার ওয়েট থাকে তাদের আলাদাভাবে বাছাই করে উচ্চ এনার্জি এবং অধিক প্রোটিনযুক্ত খাদ্য ও পানিতে উপযুক্ত ভিটামিন দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ওজনে নিয়ে আসতে হয়। এভাবে করলে পুরো ফ্লকে ভালো ইউনিফরমিটি আসবে এবং দ্রুত সময়ে মুরগি পিক প্রোডাকশনে আসে। একই সাথে পিক প্রোডাকশন অনেকদিন থাকে যা মুরগি গড়ে বেশি সংখ্যক ডিম পেতে সাহায্য করে।
এ সময়ে মুরগির জন্য বেশি পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ফলিক এসিড, রাইবোফ্লোভিন দরকার হয়, খাওয়ার পানির মাধ্যমে আমরা এগুলো মিশিয়ে দিতে পারি। লাইটিং সিডিউল বিষয়ে অধিক যত্নবান হতে হবে। পুলেট ব্যবস্থাপনার অন্যান্য কাজগুলো ঠিক থাকলেও এ বিষয়ে সঠিক তীব্রতায় ও নির্দিষ্ট সময়ব্যাপি আলো না দিলে ডিম তৈরি হবে না। সুতরাং মনে রাখতে হবে, আলো ব্যবস্থাপনা হলো লেইং পিরিয়ডে ডিম পাড়ার প্রধান নিয়ামক। লেয়ার মুরগির সর্বোচ্চ হারে ডিম দেওয়াকালিন সময়ে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি, সাধারণ পিক প্রোডাকশন পিরিয়ড হলো ২৮-৩৮ সপ্তাহ পর্যন্ত, এ সময়ে সাধারণত সাদা বা লাল লেয়ার প্রতিদিন ৯৫%-৯৭% ডিম দেয়।