ভালো বীজের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য

1685

আমাদের দেশের বীজ শিল্পের বহুল প্রচলিত স্লোগান হচ্ছে, ‘ভালো বীজ ভালো ফসল’। ভালো বীজ মানে উন্নতমানের বীজ। মান সম্পন্ন বীজ বিভিন্ন শ্রেণির হতে পারে যেমন- মৌল বীজ, ভিত্তি বীজ, উন্নত মানের বীজ, হাইব্রিড বীজ ইত্যাদি।

মান সম্পন্ন বীজ:
মান সম্পন্ন বীজের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নরূপ
বিশুদ্ধ বীজ (কম পক্ষে ৯৪% বিশুদ্ধতা)।
উজ্জ্বল, সুন্দর, সতেজ, স্বাভাবিক রঙ এর বীজ।
পুষ্ট, বড় দানা সম্পন্ন বীজ।
পোকা ও রোগ মুক্ত বীজ।
বীজের আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ১২% (ধান, গম) অন্যান্য ফসল ১০%।
গজানোর ক্ষমতা ৭০-৮৫% এর উপরে।

উন্নতমানের বীজের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নরূপ :

মান সম্পন্ন ও উন্নতমানের বীজের বিস্তারিত বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
বাহ্যিক চেহারা হবে উজ্জ্বল, সুন্দর, আকার, আয়তন ও জৌলুস ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
বীজে কোন নিষ্ক্রিয় পদার্থ (Inert Material) বালি, পাথর, ছোট মাটি, ভাঙ্গা বীজ, বীজের খোসা ইত্যাদি থাকবে না।
বীজে হতে হবে বিশুদ্ধ (Pure Seed)।
বীজের ক্ষতিকর আগাছার বীজ (Obnoxious weed seed) থাকবে না।
বীজ হতে হবে পুষ্ট। আকার, আয়তন, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, ওজন, জাত অনুযায়ী নির্দিষ্ট থাকতে হবে।
বীজের আর্দ্রতা নির্ধারিত মাত্রায় থাকতে হবে। (ধান, গম, ভুট্টার বেলায় ১২%, ডালজাতীয় শস্যের বেলায় ৯%, পাট ৯%, সরিষা ৮%, সূর্যমুখী ৯% , ফুলকপি ৭%)।

বীজ ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের আক্রমণ মুক্ত ও নীরোগ হতে হবে।
প্রয়োজনে বীজের সুপ্তাবস্থা (Seed Dormancy) কাটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্য কৃষকদের নিকট অবশ্যই সুপ্তাবস্থা কাটানো বীজ যা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করা যায় তা সরবরাহ করতে হবে। সর্বোপরি বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা নির্ধারিত মানের হতে হবে। (সর্বনিম্ন ধান ৮০%, গম ৮৫%, ডালশস্যা ৭৫-৮৫%, শাক-সজবি ৭০-৭৫%)।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৩জুন২০