ভুট্টা চাষে স্বপ্ন দেখছেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা

98

জয়পুরহাটে গত কয়েক বছর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টা চাষ। বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় বেড়েছে এ চাষ। কৃষকরা জানায়, অন্য ফসলের চেয়ে রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম এ ফসলে, বাজারে ভালো দামও পাওয়া যায়। তাই অনেকেই অন্য ফসল বাদ দিয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী, ভাদসা, দাদরা, জামালপুর, আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ, জিয়াপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে এবার ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। ভুট্টা চাষে সেচ খরচ যেমন কম তেমনি রোগবালাই আর পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। আবার পোলট্রি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে ভুট্টাগাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় হয় কৃষকদের।

ইতোমধ্যে ভুট্টার গাছে গাছে ফুল ও দানা আসতে শুরু করেছে। এক বিঘাতে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এবার প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর বাজারে ভালো দাম পাওয়া গেলে ৪০ হাজার টাকার বিক্রির আশা করছেন কৃষকরা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার দাদড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। গত বছর এক বিঘাতে ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছিলাম। বাজারে ন্যায্য দাম পেলে এবারও লাভবান হতে পারব। এজন্য সরকার যেন এদিকে নজর দেয়।

আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুট্টা চাষে তেমন ঝামেলা নেই। এবার আড়াই বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি এবার ভালো দাম পাব।

পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, জয়পুরহাট জেলায় অনেক পোলট্রি খামার রয়েছে, যার জন্য ভুটার চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা অনেক লাভজনক। ভুট্টা ছাড়াও জ্বালানি হিসেবে ভুট্টাগাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করা যায়।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। জেলায় বেশ কিছু পোলট্রি, মৎস্য ও গো-খাদ্য কারখানা থাকায় স্থানীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার চাহিদা। তাই এর চাষ আরও বৃদ্ধি করতে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।