খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দিনব্যাপি চৌদ্দতম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আজ (০১ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় তিনশ’ বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি। আগামীকাল (০২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। গত ৩০ এপ্রিল প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, আজ বিকাল ৪টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, মালয়েশিয়ার সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান Universiti Malaysia Terengganu (UMT) Gi Institute of Tropical Aquaculture Gi Director Prof. Dr. Abol Munafi Bin Ambok Bolong, School of Food Science and Technology (UMT) Gi Dean Prof. Dr. Amiza Mat Amin।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ (প্রতিপাদ্য বিষয়ে) উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর এড্ভান্সড স্টাডিজ’র নির্বাহী পরিচালক ও পরিবেশবিদ ড. এ. আতিক রহমান। এবারের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘Achieving SDGs for Bangladesh- Integrating livestock and fisheries resources to ensure food safety’ প্রতিপাদ্য বিষয়ের ৪টি এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো: (i) Increased livestock production to achieve SDGs, (ii) Exploring the potentials of fisheries sector in Bangladesh, (iii) Ensuring Food safety and Food Security towards implementing SDGs & (iv) One Health Education to achieve SDGs in Bangladesh. সম্মেলনে মোট ৮টি টেকনিক্যাল সেশনে একটি মূল প্রবন্ধ এবং ৪৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। সম্মেলনে বিষয়সংশ্লিষ্ট ৩৮টি পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৫ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ঝউএং এর যে উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তা হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশে বসবাসকারী মানুষদের দারিদ্র্য বিমোচন ও তাদের জীবনযাত্রার মানের অসমতা হ্রাসকরণের মাধ্যমে বিশ্বের সমস্ত জীবের উন্নয়ন ঘটানো। জাতিসংঘের এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাণিজ আমিষ বিশেষ করে-দুধ, ডিম, মাছ, মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি মেধাবি জাতি তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে প্রানিসম্পদ ও মৎস্য সম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন ও প্রাণিজ আমিষ প্রাপ্তি অধিকতর সহজলভ্য করা প্রয়োজন। অন্যদিকে খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাও জরুরি। জনস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ভারসাম্য সমদৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। এসব বিষয়কে সামনে রেখে দু’দিনের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দুইদিনের এ সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধসমূহ বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবেন। এর মাধ্যমে যেসব সুপারিশ প্রণিত হবে তা সরকারের বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, অতীতে অনুষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের কিছু কিছু সুপারিশ সরকার ও দাতাসংস্থাগুলো বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো. রায়হান ফারুক, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র চন্দ, বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক প্রফেসর ড. এ.কে.এম. সাইফুদ্দীন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মাসুদুজ্জামান, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান, প্রক্টর প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক প্রফেসর ড. জুনায়েদ ছিদ্দিকী, প্রফেসর ড. আশরাফ আলী বিশ্বাস, লাইব্রেরীয়ান মো. হাবিবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ মো. জিল্লুর রহমান। এ সময় মাল্টিমিডিয়ায় সম্মেলন সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এস.এম. মোকাদ্দেস আহমেদ দিপু।