জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ থেকে: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪শ ২৮ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদ করেছে চাষিরা। যেখানে মহেশপুরে ৪শ ৯ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮ হেক্টর এবং সদর উপজেলা ১১ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে।
কৃষকরা সাধারণত বি-৩ ও ঢাকা-১ এবং দেশীয় জাতের বাদাম আবাদ করেন। বাজরে চাহিদা ভাল এবং কম খরচে লাভের পরিমাণ বেশি। তাই দিনদিন চাষিরা বাদাম আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চাষ পদ্ধতিতে নতুন নতুন পদ্ধতির ব্যবহার করে সাফল্য পাচ্ছেন। এখন সময় চাষিরা শখের চাষ করলেও আজ বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হচ্ছে।
জানা গেছে, বাদাম একটা স্বল্পমেয়াদি অর্থকরি ফসল ফসল। এটি উৎকৃষ্ট মানের ভৌজ্য তেল বীজ। বাদামের বীজে ৪৮ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ তেল এবং ২২ থেকে ২৯ শতাংশ আমিষ রয়েছে। কাঁচা ও ভাজা উভয় অবস্থাতেই ইহা খাওয়া যায়।
এছাড়া চানাচুর, কেক, বিস্কুট, তরকারি, ভর্তা, তেল তৈরিতে বাদাম ব্যবহার করা যায়। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চীনাবাদামে রয়েছে নানা রকমের অবদান।
চিকিৎসকদের মতে, বাদামের প্রোটিনে দেহ গঠন এবং মাংস তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। বাদামের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের কোলোস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া উচ্চমাত্রার নিয়াসিন দেহকোষ সুরক্ষা, বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধ, মস্তিস্ক সুস্থ ও রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যান্সার হার্ডের রোগ প্রতিরোধ করে। এর প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামে হাড় গঠনে সাহায্য করে।
সদর উপজেলার চন্ডিপুরের বাদাম চাষি আব্দুর রশিদ জানান, বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয় ১২/১৫ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হবে ৮/১০ মণ। বিক্রিতে বাজারে চাহিদা সব সময়ই ভাল থাকে। প্রতিমণ বাদাম ৩/ সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। যা খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লাভ থাকে। এবছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন বলে জানান।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা বলেন, অন্যান্য আবাদের তুলনায় বাদাম চাষে খরচ কম, বিক্রিতে বাজারে চাহিদাও ভালো এবং বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাদাম আবাদে উৎপাদনও বেশি হচ্ছে। ফলে বাদাম আবাদে দিনদিন চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি বিভাগের পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ বলেন, বাদাম চাষে মনোনিবেশ করতে কৃষি অফিস যথাযথভাবে কাজ করছে। বাদাম চাষে চাষিরা ভালো লাভবান হচ্ছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন