মাছের ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়

690

মাছের-ক্ষতরোগ

মাছের ছত্রাকজনিত রোগে কি করতে হবে তা অনেক মাছ চাষিরাই জানেন না। আমাদের দেশে মাছ চাষ একটি জনপ্রিয় পেশা। মাছ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আমাদের দেশের উৎপাদিত মাছ রপ্তানি করে মাছ চাষিরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন।

মাছ চাষে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাছের রোগ। মাছের রোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মাছের ছত্রাকজনিত রোগ। মাছের পুকুরে অনেক সময় ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ দেখা যায়। আসুন জেনে নেই মাছের ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে-

মাছের ছত্রাকজনিত রোগের লক্ষণসমূহঃ

১। ছত্রাকজনিত রোগে মাছের পুচ্ছ পাখনা, ময়লাবর্ণ তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা যায়।

২। মাছের চামড়ায়, মাছের ডিম আক্রান্ত হয়ে সাদাটে হয়ে যায়।

৩। পানির স্রোত যখন স্থির হয় কিংবা বদ্ধ জলায় অথবা হ্যাচারি ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে সেখানে ছত্রাক রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

৪। এছাড়া প্রাকৃতিক জলাশয়ের প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ ডিম এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মাছের ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধেঃ

১। মাছের ছত্রাকজনিত সমস্যা রোধে হ্যাচারির প্রতিটি যন্ত্রপাতি ও ট্যাংক সম্পূর্ণরূপে পরিস্কার করার পর শতকরা ১০ ভাগ ফরমালিন পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে।

২। অনিষিক্ত ও মৃত ডিমগুলোকে দ্রুত হ্যাচারি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

৩। হ্যাচারিতে অধিক খাদ্য প্রয়োগ করা যাবে না। এতে মাছ ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

৪। মাছের হ্যাচারিতে পালনকৃত ডিমগুলো ২৫০ পিপিএম ফরমালিন দিয়ে ধৌত করা।

৫। খাঁচা ও পেনে চাষকৃত আক্রন্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩ থেকে ৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২থেকে ৩ মিনিটের মতো গোসল করালে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

৬। বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে শতকরা ৫ ভাগ লবণ পানিতে আক্রান্ত মাছগুলোকে গোসল করালেও ছত্রাকজনিত রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৪ফেব্রু২০২০