গবাদিপশুর না খাওয়া রোগের কারণ ও চিকিৎসা

498

গরু-1-1-696x391
গবাদিপশুর না খাওয়া রোগ ও তার চিকিৎসা অনেক খামারি কিংবা গবাদিপশু পালনকারিরা জানেন না। আমাদের দেশে গবাদিপশু পালন একটি লাভজনক পেশা। কিন্তু গবাদিপশু পালন করতে গিয়ে অনেক খামারিই ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে যার অন্যতম কারণ হল গবাদিপশুর রোগ। গবাদিপশুর বিভিন্ন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গবাদীপশুর না খাওয়া রোগ। আসুন জেনে নেই গবাদীপশুর না খাওয়া রোগ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে-

গবাদিপশুর না খাওয়া রোগের লক্ষণঃ

গবাদিপশুর খাবারে অনিহা দেখা যায়।
গবাদিপশুর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কংবা জ্বর দেখা যায়
গবাদিপশুর শরীরে কাপুনি দেখা যায়।
গবাদিপশুর মুখের ফেনাযুক্ত আঠালো লালা ঝরতে দেখা যায়।
গবাদিপশুর পায়ে, মুখে বা জিহ্বায় এবং ওলানের বাটে ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়।
বাছুরের ক্ষেত্রে অনেক সময় লক্ষন প্রকাশের আগেই বাছুর মারা যায়।
গর্ভবতী পশুর অনেক সময় গর্ভপাত হয়ে যায়।
গবাদিপশুর না খাওয়া রোগের চিকিৎসাঃ

রোগের শুরুতেই আক্রান্ত পশুকে আলাদা করে পরিস্কার ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে।
ভাইরাস জনিত রোগ তাই এই রোগের বিশেষ কোন চিকিৎসা নেই। তবে ভালো ভাবে পরিচর্যা সহ কিছু ব্যবস্থা নিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
গবাদিপশুর মুখে ঘা হলে এলাম বা পটাসিয়াম পার মাঙ্গানেট দিয়ে দিনে ২-৩ বার মুখ ধুয়ে দিতে হবে।
প্রচুর লালা ঝরলে পশু দুর্বল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ৫ ডেক্সটোজ স্যালাইন শিরায় পুশ করতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কিছু এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে।
পানির ঘাটতি পুরনের জন্যে ইলেকট্রলাইট দেয়া যেতে পারে।
হিস্টামিনের নিঃসরণ কমানোর জন্যে এ্যন্টিহিস্টামিন।
গবাদিপশুকে টিকা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রেঃ

গবাদিপশুর ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ হলে জিহ্বাকে শক্ত করে দেয় এবং ঘা হয়ে যায় ফলে প্রাণি খেতে পারেনা। জিহ্বাতে ভাইব্রোসিস হয়ে গিয়ে প্রচন্ড লালা ঝরে কোন কিছু খেতে পারেনা। আক্টিনোবাসিলোসিস লিগ্নিয়ারেসি নামক গ্রাম পজিটিভ কক্কোব্যাসিলাই জীবাণু এই রোগের কারণ। পুজ হয়, জিহ্বা নড়াচড়া করতে পারেনা।

সোড়িয়াম আয়োডাইট ১০ সলুওশন প্রতি ১২ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ মাত্রা হিসেবে আক্রান্ত প্রাণীর শিরায় ইনজেকশন দিতে হবে। পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। তাতে কাজ না হলে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান দ্বারা জিহ্বা দেখে চিকিৎসা করানো উত্তম। এছাড়াও গবাদিপশুর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলেই আমরা বুঝতে পারবো তার খাবার চাহিদা কেমন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৪ফেব্রু২০২০