মাদারীপুরের শিবচরে কোরবানির গরু সাহেবজাদার ওজন প্রায় ২০ মণ। এর দাম হাকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর ও যত্ন সহকারে গরুটি কিনবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হবে বলে জানান মালিক। সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, ভুষি খাইয়েই গরুটিকে লালন পালন করা হয়। গরুটিকে দেখতে ভীড় করছে আশে পাশের মানুষ।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চান্দেরচর বাজার সংলগ্ন মিলন মুন্সী কিনেন প্রায় দেড় বছর আগে। পেশায় গরুর খামারী এই মিলন অন্যান্য গরুগুলো খামারে লালন পালন করলেও সাহেবজাদাকে পালন করেন নিজের ভবনের সঙ্গেই ঘর তুলে। সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভুষি খাইয়ে লালন পালন করেন। সাবান শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন ৩/৪ বার গোসল করান গরুটিকে। পরম যত্মে গরুটিকে পালন করত মিলনের পরিবারের সদস্যরা।
গরুটি শান্ত প্রকৃতির বিশালাকৃতির। প্রায় সাড়ে ৭ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ২ ইঞ্চির উচ্চতা সম্পন্ন সাহেবজাদা। ওজন প্রায় ২০ মণ। এ বছরের কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য এর দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর ও যত্ন সহকারে গরুটি নিবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হবে বলে জানান মালিক। বিশালাকৃতির সাহেবজাদাকে দেখতে প্রতিদিনই শতশত মানুষ ভীড় করছেন মিলন মুন্সীর বাড়িতে।
স্থানীয় আবু হাওলাদার বলেন, এই গরুটি মিলন ভাই ও তার পরিবারের লোকজন খুব যত্ম করে। আমরা অনেকেই গরুটি দেখতে মাঝে মাঝেই এই বাড়িতে আসি। এত বড় গরু সচরাচর দেখা যায় না।
গরুটির মালিক মিলন মুন্সী বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে বাছুরটি হাট থেকে কিনি। বাড়ি এনে আমরা খামারে না রেখে বাড়িতে রেখে গরুটি লালন পালন করেছি। প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস, ভুষি খাইয়ে গরুটি লালন পালন করা হচ্ছে। আমরা ৮ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করব। গরুটি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের। গরুটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হচ্ছে। গরুটি আমরা ৮ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। তবে গরুটি আদর করে যারা নিবে দাম একটু কম হলেও তাদেরকেই গরুটি দিব।