মিঠাপুকুরের (রংপুর) নিরাপদ বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য ফল এবং সবজি উৎপাদনে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

298

18033985_1734058330219671_3616137748077901789_n

সেখ জিয়াউর রহমান, রংপুর প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মল্লিকা সীড কোম্পানীর যৌথ আয়োজনে নিরাপদ বিষমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য ফল এবং সবজি উৎপাদনে ফ্রুট ব্যাগিং’র ওপর দিনব্যাপি এক কর্মশালা গত ২৩ এপ্রিল রংপুর নগরীর ডিএই হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জেলা কৃষি অফিসার মো. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহআলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স.ম. আশরাফ আলী, মল্লিকা সীড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ. আর মালিক, আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. আবু সায়েম। মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র’র উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শরফ উদ্দিন ।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আমাদের পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই আমাদের কৃষির সবটুকু কাজে লাগাতে হবে। তিনি মল্লিকা সীড কোম্পানির পরিচালকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ ফ্রুট ব্যাগ সীমিত লাভ করে কৃষকের মাঝে সরবরাহ করা হলে চাষির ক্রয় ক্ষমতার ভেতর থাকবে।

বিশেষ অতিথি উপপরিচালক স.ম. আশরাফ আলী বলেন, আমাদের প্রয়োজনে এ পদ্ধতিতে আম চাষ করতে হবে। এ আম বাজারের আমের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রয় করা যায়। আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. আবু সায়েম বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক স্থাপিত কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রর সদস্যদের ফ্রুট ব্যাগিং করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। মিঠাপুকুরের ময়েনপুরে যে এআইসিসি আছে সেখানে গতবছর সর্বপ্রথম সদস্যরা মিলে ৮ হাজার হাড়িভাঙ্গা আমে ফ্রুট ব্যাগিং করে। এ বছর তারা ৪০ হাজার হাড়িভাঙ্গা আমে এ ব্যাগিং করবে। এতে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবে। কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা না হওয়ায় ফল বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আমে কোনো প্রকার দাগ দেখা যায় না। মুখ্য আলোচক ড. মো. শরফ উদ্দিন ফ্রুট ব্যাগিং নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। কর্মশালায় ৬০ জন আম চাষি উপস্থিত ছিলেন।