মো. রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মুন্সিগঞ্জ খেকে: মুন্সিগঞ্জে পদ্মানদীতে দিন-রাত জাল ফেলেও জেলেদের জালে মিলছে না রূপালি ইলিশ। ভরা এ মৌসুমেও নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে হতাশ এই উপকূলের কয়েক হাজার জেলে।
মাছ ঘাটগুলোতে ইলিশের আমদানি না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন আড়তদাররা। তবে আরও কিছু দিন পরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন জেলা মৎস্য বিভাগ। তবে যেক’টি পাওয়া যাচ্ছে তাও বাজারে দাম রয়েছেন দ্বিগুণ।
শরিয়তপুর, শুশ্বের, মেঘনা নদীর এলাকায় জুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রম। এ জেলায় প্রায় ৪৭ হাজার জেলে প্রতিদিন নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্ভর করে। জীবিকার তাগিদে জেলের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়লেও কমছে আহরিত ইলিশের পরিমাণ।
আগস্ট থেকে অক্টোবর পদ্মা মেঘনায় নদীতে মাছ শিকারের ভরা মৌসুম এ দুই মাস। কিন্তু নদীতে মাছ না থাকায় মাছ শিকারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলেরা। বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ভরা মৌসুমে অনেক আশা নিয়ে মাছ শিকারে নামলেও জেলেদের জালে আশানুরুপ ধরা পড়ছে না রুপালি ইলিশ। খরচের তুলনায় মাছ না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় জেলেরা। আগে এই মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও চলতি বছর কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে বেশিরভাগ জেলে খালি হাতে ফিরছেন নদী থেকে।
ভরা মৌসুমে ইলিশের এমন দুর্দিনে অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা। নদীতে মাছ না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে জেলে পরিবারগুলো।
এদিকে জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারায় অনেকটাই অলস সময় কাটছে আড়তদারদের। অনেকটাই শূন্য মাছের আড়তগুলো।
সংশ্লিষ্ট জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, প্রজনন মৌসুমে সমুদ্র থেকে ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে আসে। তখন উপকুলে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। ডিম ছেড়ে সমুদ্রে চলে যাওয়া কারণে বর্তমান সময়ে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, ইলিশ ভ্রমণশীল ও মাইগ্রেট মাছ, নিরবচ্ছিন্ন পানির প্রবাহ থাকলে ও বৃষ্টিপাত হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মাছ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন জেলার মৎস বিভাগের কর্মকর্তারা।
- Brazil-Bangladesh Poultry Business Talks Begin today in Dhaka
- ইউএন-এর অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হলেন ইব্রাটাস ট্রেডিংয়ের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন খাঁন
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএস