যেসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের কিছু করার থাকেনা এবং খামারির লস হয়।খামারীর করণীয়।
১।মুরগি যদি এইচ ৫ এন ১ বা এইচ ৭এন২ দ্বারা আক্রান্ত হয়।ভি ভি এন ডির ক্ষেত্রেও কিছু করার থাকে না যদি দেরিতে ডাক্তারকে জানানো হয়।
তবে ১ম দিকে আসলে সুযোগ আছে।
২।কোন সমস্যা হবার পর ভ্যাক্সিন বা ইঞ্জেকশন করার পর ডাক্তারকে জানালে তেমন কিছু করার থাকে না তাই আগেই জানাতে হবে।
৩।সব ধরণের এন্টিবায়টীক খাওয়ানো শেষ হলে বা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেলে।
ডাক্তার দিয়ে ১ম থেকেই মনিটরিং করানোই ভাল হবে যাতে বড় সমস্যা হবার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারে।
৪।ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভ্যাক্সিনেশন করলে আগের অবস্থায় বা পিছনে যাবার সুযোগ নাই।বন্ধুকের গুলি বের হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না।
৫.২০ সপ্তাহ পর্যন্ত নিজের মত পালন করে,২০ সপ্তাহের পর মুরগির ওজন আসে না এই কথা কথা বলে লাভ নাই ।
৬.২৮ সপ্তাহে হয়ে গেছে কিন্তু পিক প্রডাকশনে আসে না।এই অবস্থায় ডাক্তারের কাছে গেলে তেমন কিছু করার নাই।
৭।বাচ্চা যদি আন্ডার ওয়েট বা কোয়ালিটি খারাপ হয় বা জীবাণুযুক্ত থাকে সেই বাচ্চা থেকে স্বাভাবিক বাচ্চার মত আশা করা যায় না অথবা ব্রুডিং এ বা ১ম ১মাস যদি ভাল ওজন না আসে বা ব্যবস্থাপনা খারাপ হয় তাহলে সেটা ভাল বাচ্চা্র মত হয় না।
৮।যে কোন সমস্যয় প্রাথমিক স্টেজে ডাক্তারকে জানালে ভাল হবার সুযোগ থাকে কিন্তু পরে গেলে কাজ হয় না।
৯।রানিক্ষেতের(ভেলোজেনিক) ক্ষেত্রে ১ম বা ২য় দিন ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার চিকিৎসা দিলে ভাল হবে কিন্তু পরে গেলে সম্বাবনা কমে যাবে।
১০।শুধু চিকিৎসা জন্য ডাক্তারের কাছে গেলে কাজ হবে না, ব্যবস্থাপনার জন্যও যেতে হবে।
১১।লাইটিং শিডিউল ভাল না হলে বা ব্যবস্থাপনার জন্য ঠোকরাঠুকরির করলে সব সময় ভাল রিজাল্ট পাওয়া যাবেনা।
১১।বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে গেলে কাজ হবে না।যদি ডাক্তার বলে আমার চিকিৎসা শেষ তাহলে অন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
১২।একজন নির্দিস্ট ডাক্তারের আন্ডারে থেকে সব ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা না নিলে ফার্মের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।
১৩।ব্যবস্থাপনা ঠিক না করে চিকিৎসা নিতে খামারী বেশি আগ্রহী হলে ফার্ম দীর্ঘ স্থায়ী হবে না।
১৪।ফ্রি চিকিৎসা বা অল্প খরচে ভাল কিছু আশা করলে সেটা লস প্রজেক্ট হয়ে যেতে পারে।
১৫।খামারী যদি নিজের ভাল মন্দ না বুঝে,আমাদের দেশের খামারীরা সঠিকটা বাছাই করতে পারে না।
তারা চোখের সামনে ১০০০টাকা খরচ হলে কস্ট পায় বা মেনে নিতে পারে না কিন্তু পরে ১লাখ লস হয়ে যায় যা খামারীরা জানেনা/বুঝেনা/দেখেনা।
৯০% খামারী ১০০০টাকা বাচাতে গিয়ে ১লাখ টাকা লস করে।
১৬।ডাক্তার যা বলে তা মেনে নিতে চায় না,নিজের মত করে চালায় যার সংখ্যা ৭০% -৮০%।
১৭।খামারী যদি মনে করে আমি অনেক বছর মুরগি পালি তাহলে বিপদ আছে।
১৮।আমি এতদিন যেভাবে মুরগি পালন করি তা ঠিক আছে এমন মনে করলে যে কোন সময় ধরা খেয়ে আগের লাভের টাকাসহ পুঁজি হারিয়ে যেতে পারে ।
১৯।খাবার,বাচ্চা ও ভাল কোম্পানীর মেডিসিন ও টিকা ব্যবহার না করলে কোন কিছুতে ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায় না।
২০।এইচ ৯,আই বি,আই বি এইচ,পেঠে পানি জমা,গাউট,রিও,মেরেক্স,লিউকোসিস হলে এবং হ্যাচারী থেকে খারাপ বাচ্চা আসলে তেমন কিছু করার থাকেনা।
২১।কক্সির ডোজ ঠিক মত না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে।উচিত ছিল ডোজ করার আগেই যোগাযোগ করা কারণ খামারীর ডোজ ঠিক মত করতে পারেনা।
২২।ডাক্তার শুধু মুরগি বানানোর জন্যই চিকিৎসা করে না,অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় খরচের হাত থেকে রক্ষা করে যা লাভের একটা অংশ।
এই বিষয় টা নিয়েও খামারীকে ভাবতে হবে যা ৯০% খামারীর ভাবে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৮ এপ্রিল ২০২১