মেহেরপুর: গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা মেটাতে মেহেরপুরে এখনও গ্যামা চাষ হচ্ছে। অনেকে গ্যামা ঘাস চাষ করে ফেরি করে বিক্রি করছে। এবছর মেহেরপুর জেলায় ২ হাজার ১শ বিঘা জমিতে গ্যামাচাষ হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানান, একসময় গ্যামা ছিল গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের আলী আকবর জানান, তার গৃহপালিত দুটি গবাদিপশুর জন্য একবিঘা জমিতে গ্যামা চাষ করেছেন। যা থেকে সারাবছর গবাদি পশুর খাদ্য চাহিদা পূরণ করা হয়। গ্রামের অনেকেই গ্যামার পাশাপাশি নেপিয়ার ঘাসও চাষ করছেন। তবে গ্যামাতেই পুষ্টিগুণ বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান সাধারণত দুধালো গাভীর প্রতি ১০০ কেজির জন্য ২ কেজি খড় সরবরাহ করতে হয়। ১ কেজি খড় ৩ কেজি তাজা সবুজ ঘাসের সমতুল্য। গাভীকে প্রতি ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১ কেজি শুকনো আঁশযুক্ত খাদ্য (খড়) এবং ৩ কেজি তাজা সবুজ আঁশযুক্ত খাদ্য (ঘাস) দেয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ ৫০০ কেজি ওজনের একটি দুগ্ধবতী গাভীকে ৫ কেজি শুকনো খড় এবং ১৫ কেজি সবুজ ঘাস হিসেবে গ্যামা সরবরাহ করতে হবে। পতিত জমিতে এই গ্যামা চাষ করা যায়।
তিনি আরও জানান, উঁচু নিচু সব জমিতেই গ্যামা ঘাস চাষ করা যায়। এমনকি আবদ্ধ পানি ও লোনা মাটিতেও এ ঘাস জন্মানো সম্ভব। বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলের জন্য গ্যামা চাষ খুবই সম্ভাবনাপূর্ণ। আম-কাঁঠালের বাগানের ফাঁকে ফাঁকে, রাস্তার দু’পাশে স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়, জলাবদ্ধ স্থানেও গ্যামা চাষ করা যায়।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন