জাতভেদে বিভিন্ন মাছের চাষ পদ্ধতি আমাদের অনেকেরই জানা নেই। মাছ চাষ আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা। মাছ চাষে লাভবান হওয়ার জন্য জাতভেদে বিভন্ন মাছের চাষ পদ্ধতি জানা অতীব জরুরী। চলুন জেনে নেই জাতভেদে বিভিন্ন মাছের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে-
জাতভেদে বিভিন্ন মাছের চাষ পদ্ধতিঃ
নতুন চাষী হলে প্রথম বছর তেলাপিয়া এবং কার্প জাতীয় মাছ দিয়ে শুরু করাই ভাল।
পরে পূজি এবং অভিজ্ঞতা বাড়লে একক চাষে যেতে পারেন।
১। পাবদা, গুলশা যৌথ ভাবে চাষ করা যায়, অথবা এই দুটি একক চাষও করতে পারেন শুধু পানির পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য শতকে ৪/৫ পিচ করে কার্প মাছ দিতে হবে।
২। শিং মাগুর এক সাথে ভাল হয়, সাথে ৪/৫ পিচ করে কার্প মাছ দিবেন। সাথে তেলাপিয়া বা পাঙাশ না দেওয়ায় ভাল।
৩। কৈ একক চাষ করা বুদ্ধি মানের কাজ, তবে শতকে ৭ থেকে ৮ পিচ করে ২০০/৩০০ গ্রাম ওজনের কার্প মাছ দিতে হবে।
৪। পাঙাশ তেলাপিয়া একক চাষ করা ভাল। সাথে ৮/১০ পিচ করে কার্প মাছ দিতে হবে।
এখানে যেভাবে মাছের প্রজাতি ভাগ করা হয়েছে সেভাবে মাছ চাষ করলে যে সুবিধা গুলো পাওয়া যায়-
খাবারের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, যে মাছের জন্য যতটুকু আমিষ প্রয়োজন ততটুকু প্রয়োগ করে খাবারের অপচয় রোধ করা, সব মাছের সমান গ্রোথ নিশ্চিত করা, যে কোন মাছ রোগাক্রান্ত হলে সহজে ঔষধ প্রয়োগ করা যায় উক্ত ঔষধে অন্য প্রজাতি মাছের ক্ষতি হবে তা নিয়ে চিন্তা করতে হয়না, খাবার গ্রহনে কোন প্রতিযোগিতা থাকবেনা এবং এক মাছ আরেক মাছ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
প্রজাতি ভেদে আমিষের চাহিদাঃ
১। পাবদা গুলশা কৈ ৩৫ থেকে ৪০%
২। শিং- মাগুর ৩৩ থেকে ৩৫%
৩। তেলাপিয়া পাঙাশ ২৬ থেকে ২৮%
৪। কার্প জাতীয় মাছ ২২ থেকে ২৪% আমিষ সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন।
সবার আগে ভালভাবে পুকুুর পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে ঐ পুকুরে কি মাছ চাষ করলে ভাল হবে, তারপর এলাকায় কোন ধরনের মাছের চাহিদা বেশি সেটা লক্ষ্য করতে হবে, তারপর সার্বিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে মাছ চাষ শুরু করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৬ফেব্রু২০২০