পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁঠাল স্বাস্থ্যরক্ষায় অবদান রাখে প্রচুর। বিশেষ করে এতে উপস্থিত খাদ্য উপাদান সহায়তা করে বিভিন্নভাবে। যেমন –
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা দাঁত, মাঢ়ি ও মুখের ঘা জাতীয় রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এতে চর্বি জাতীয় উপাদানের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তাই কাঁঠাল খেলে ওজন বৃদ্ধির আশংকা একেবারেই থাকে না।
কাঁঠালে রয়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকর দূষণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। স্তন, পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
কাঁঠালে রয়েছে খাদ্যআঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
টেনশন ও নার্ভাসনেস কাটাতে কাঁঠাল বেশ উপকারী।
এতে উপস্থিত খনিজ উপাদান রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাঁঠাল ভূমিকা রাখে।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কাঁঠালের জুড়ি নেই!
কাঁঠালের ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড় ও দাঁত গঠনে এবং মজবুতকরণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এতে উপস্থিত ভিটামিন বি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় সেই সাথে ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করতেও কাঁঠালের ভূমিকা রয়েছে।
কাঁঠালে বিদ্যমান প্রোটিন দেহের কোষ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালে উপস্থিত আয়রন ও খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করে। সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
গর্ভবতী মা প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভস্থ শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয় এবং গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবে হয়। স্তন্যদায়ী মায়ের দুধের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
কাঁঠালে উপস্থিত সকল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কাঁঠালের কোষ খাবার হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি এর অন্যান্য অংশও কাজে লাগানো যায়। ফলের পাশাপাশি কাঁঠালগাছেরও রয়েছে নানা উপকারিতা।
যেমন -কাঁঠালের খোসা ও ভুতি গবাদি পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠালের পাতা ছাগলের অত্যন্ত পছন্দের খাবার।
কাঁঠালগাছের শেকড় চর্মরোগ, হাঁপানি, জ্বর ও ডায়রিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কাঁঠালের পোড়া পাতার ছাইয়ের সাথে ভুট্টা ও নারকেলের খোসা একসাথে পুড়িয়ে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ঘা বা ক্ষতস্থানে লাগালে তা দ্রুত শুকিয়ে যায়।
কাঁঠালগাছের কাঠের গুঁড়া কাপড় রাঙানোর রং তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কাঁঠালগাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত, মজবুত ও উন্ন ধরনের কাঠ। এ কাঠ আসবাবপত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭জুন২০