রংপুরে ৮ লাখ ৭ হাজার ইঁদুর নিধন

377

Rat_BGGG20171024103044

রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় গতবছর ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৬৯টি ইঁদুর নিধন করা হয়েছে। কৃষিকর্মী, কৃষক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন লোক ইঁদুর নিধন অভিযানে অংশ নেন। এতে রংপুর অঞ্চলে প্রায় ৬ হাজার ৫৮ দশমিক ২৬৭৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের সাশ্রয় হয়েছে।

মঙ্গলবার রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা ও সদর উপজেলার যৌথ ব্যবস্থাপনায় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা এ তথ্য দেন।

সভায় ফসলে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স ম আশরাফ আলী, বিএডিসির (বীজ বিপণন) উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. সুলতানুল আলম।

অনুষ্ঠানে গত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে মিঠাপুকুর উপজেলার রণজিৎ কেরকাটা ২৭ হাজার ৫০৭টি, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চান মিয়া ৫ হাজারটি, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ইছার আলী ১১ হাজার ২১০টি, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার জহিরুল ইসলাম ৯ হাজার ৮২০টি এবং নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার আব্দুল জলিল ১২ হাজার ১২৯টি ইঁদুর নিধন করে কৃষক পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার রাশেদুল ইসলাম তার ব্লকে ৩০ হাজার ১০০টি এবং মিঠাপুকুর উপজেলার মাহফুজুর রহমান তার ব্লকে ২৫ হাজার ৪১০টি এবং আমিনুল ইসলাম তার ব্লকে ২৫ হাজার ২২০টি ইঁদুর নিধন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা ২ লাখ ৪ হাজার ২৪৩টি ইঁদুর নিধন করায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা এবং মিঠাপুকুর উপজেলার এসকে কাসেম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে ১২ হাজার ৪৫০টি ইঁদুর নিধন করায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার উপপরিচালক, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ)-গণসহ রংপুর জেলার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী এবং বিএডিসির কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।

Demand seen rising for post-harvest agri devices

খুলনার নিউটনের পানিকচুর চারার ব্যাপক চাহিদা

গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে ফলন বেশি দিয়েছে বিনা ধান-১৬

খুলনার সাচিবুনিয়া ও ঝড়ভাঙ্গা এখন ‘চুইঝাল’ গ্রাম
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম