মো. এরশাদ আলী, রাজশাহী প্রতিনিধি: উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজনে ১৬ মে রাজশাহীর দূর্গাপুর পৌরসভার শানপুকুরিয়া গ্রামে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব খাতের বিনামুগ-৬’র প্রদশর্নীর ওপর মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ডাল, তৈল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের এ মাঠদিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. বিমল কুমার প্রামানিক।
শানপুকুরিয়া এআইসিসির সভাপতি মো. আ. সাত্তারের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. মিন্টু মিয়া ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো. আনসার আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট উপসহকারি কৃষি অফিসার ডি. কৃষিবিদ মো. মোখলেসুর রহমান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে ডাল জাতীয় ফসলের ঘারতি রয়েছে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারাদেশে ডালের চাহিদা পুরণে কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী আকারে বিনামুগ-৬ চাষের ব্যবস্থা নিয়েছে। আর এ কাজটি ডাল, তৈল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মাধ্যমে করা হয়েছে। যে সমস্ত জমিতে গম, আলু ও অন্যান্য চৈতালি ফসল উৎপাদন করার পর জমি পতিত পড়ে থাকত সে সমস্ত জমিতে ব্যাপকভাবে বিনা মুগ-৬ চাষ করা সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ বছর মুগের ফলন ভালো হবে। মুগ চাষ করার ফলে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাবে। মানুষের আমিষ জাতীয় খাদ্যের অভাব পুরণ হবে। মুগ চাষ করা জমিতে পরবর্তী যে কোনো ফসল ভালো হয়। এছাড়া দেশে বিনা মুগ-৬ চাষ করার ফলে ডালের চাহিদার অনেকটা পূরণ হবে এবং বিদেশ থেকে ডাল আমদানি অনেকংশে কমে যাবে। দেশ যাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে। সবশেষে তিনি উপস্থিত চাষীভাইদের বিনামুগ-৬ চাষ করার জন্য অনুরোধ জানান এবং এ ব্যাপারে তাঁর বিভাগের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো. আনসার আলী, মুগচাষি মো. খলিলুর রহমান মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. এরশাদ আলী, রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, কৃষাণ-কৃষাণী মিলে প্রায় ৩ শ’৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।