রাজশাহীর পবায় আউশ প্রণোদনা ও সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ বিতরণ করেন সংসদ সদস্য

441

[su_slider source=”media: 4058,4059,4060″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

মো. শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী প্রতিনিধি: আজ (১৩ এপ্রিল) রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশের প্রণোদনা ও সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ বিতরণ করেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম হোসেন’র সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. খায়রুন্নেসা । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ কে এম মনজুরে মাওলা ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আমাদের জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, অপরদিকে কল-কারখানা ও বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে আবাদি জমির পরিমাণ আশংকাজনক হারে কমছে। তাই আমাদের এ ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠির খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য অল্প জমিতে আধুনিক, উন্নত জাত এবং কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ অঞ্চলের পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। সে কারণে ফসল উৎপাদনে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। তাই বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার বিগত বছরের ন্যায় এবারও এ উপজেলায় ৩ শ’ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আউশ প্রণোদনা আর বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষে সবজির মাছি পোকা দমনের জন্য ৪০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ বিতরণ করছে । তিনি প্রণোদনার বীজ ও সার গ্রহণ করে আউশের আবাদ বৃদ্ধি এবং সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ সবজি ক্ষেতে ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করার জন্য উপস্থিত কৃষকের প্রতি আহ্বান জানান ।

চলতি খরিপ মৌসুমে আউশ প্রণোদনা কর্মসূিচর আলোকে উপজেলায় আজ (১৩ এপ্রিল) ২৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জনপ্রতি ১ বিঘা উফশী আউশ আবাদের সহায়তা হিসেবে বি আর-২৬, ব্রি-ধান৪২, ব্রি-ধান৪৮ জাতের ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি হারে এমওপি সার প্রদান করা হয়। আর ৫০ জন কৃষককে কুদরত/নেরিকা মিউটেন্ট জাতের ১০ কেজি আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষে সবজির মাছি পোকা দমনের জন্য ৪০ জন কৃষকের মাঝে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও এ কর্মসূচির আওতায় সেচ প্রদান, আগাছা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি আউশ ধান চাষি ৪০০ টাকা এবং নেরিকা মিউটেন্ট ধান চাষিকে ৮০০ টাকা হারে দেয়া হয়। এ টাকা বিকাশ মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান হয়। অনুষ্ঠানে সুধীজন, গণ্যমান্য ব্যাক্তিসহ প্রায় ৪০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।