মো. রবিউল ইসলাম খান, লক্ষ্মীপুর থেকে: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে ৩ একর জমিতে কীটনাশকমুক্ত শিম চাষ করে ভাগ্য বদল করেছে আল মাহমুদ ইবনে হুছাইন অনুপমের।
বর্তমানে স্থানীয় এলাকায় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
অনুপম একই ইউনিয়নের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসাইন এর ছেলে। এ ব্যাপারে অনুপম জানান, তিনি দীর্ঘদিন কানাডা ছিল। টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়া কৃষি প্রতিবেদন দেখে নিজেই কৃষি কাজের প্রতি অনুপ্রানিত হন। বর্তমানে তার মৎস্য খামারসহ আশে পাশে তিনি বিভিন্ন কৃষিপণ্য চাষ করেন ৪৫ একর জমিতে।
এর মধ্যে ৩ একর ভূমিতে কীটনাশকমুক্ত শিম চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। ফটিকা, সীতাকুন্ডি ও রাবি ওয়ান জাতের শিম চাষ করেন তিনি। এসব শিম রোপনের ১৩০ দিনে ফলন দেয়। ৩ একর শিম চাষে তার খরচ হয় ৪ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে শিম বিক্রি করে ২ লাখ টাকা পেয়েছেন। এখনো জমিতে প্রায় ৫ লাখ টাকার শিম রয়েছে।
তিনি বলেন, এ মৌসুমে তিনি খরচ উঠিয়ে ৩-৪ লাখ টাকা লাভবান হতে পারেন। বর্তমানে খামারে মোসলেহ উদ্দিন, রিয়াজ ও মনির হোসেন নামে ৩ জন কর্মচারী তার সাথে এ চাষাবাদে জড়িত রয়েছে তাদের মাসিক কখনো প্রতিদিন হাজিরা মাধ্যমে টাকা প্রদান করেন।
কৃষি কর্মকর্তাদের কোন ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আল মাহমুদ ইবনে হুছাইন বলেন, তিনি ৪৫ একর ভূমিতে বিভিন্ন ধরনের কৃষি উৎপাদন করছে অথচ এ ব্যাপারে স্থানীয় কিংবা জেলা পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েও পান না। তবুও নিজের প্রচেষ্টায় ও কর্মচারীদের সহযোগিতা যতটুকু সম্ভব ফলন উৎপাদন করে যাচ্ছি।
ফসলে ফরমালিকসহ কোন ধরনের কীটনাশক দেওয়া হয় না বলে জানান তিনি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন