নাহিদ বিন রফিক: লেবুর পুষ্টি সম্পর্কে সবার কম-বেশি ধারণা আছে। তবে এর পুরো গুণের কথা অনেকেরই অজানা। প্রতি ১০০ গ্রাম লেবুতে (কাগজি) ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম এবং ৯০ মিলিগ্রাম। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ফসফরাস ও লৌহের পরিমাণ যথাক্রমে ১৫ মাইক্রোগ্রাম, ০.১৫ মিলিগ্রাম, ২০ মিলিগ্রাম এবং ০.৩ মিলিগ্রাম। এছাড়া লেবুর খোসাতেও পুষ্টি আছে। টাটকা অবস্থায় ভাতের সাথে ব্যবহার হলেও ফলটি প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে নানা ধরনের লোভনীয় খাবার যেমন- জেলি, স্কোয়াশ, আচার এসব তৈরি করা যায়। প্রচন্ড খরতাপে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত কত প্রিয়! তা বলার অবকাশ নেই। কেউ কেউ নুন দিয়ে লেবু খেতে পছন্দ করে। শুধু খাদ্য হিসাবে নয়, রোগ প্রতিরোধেও লেবুর অবদান যথেষ্ট। সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, স্কার্ভি, দাঁতের রোগসহ যাবতীয় চর্মরোগে এর কার্যকারিতা বেশ। বিশেষকরে খুশকি দূরীকরণে লেবুর জুড়ি নেই। এজন্য লেবুর রস চুলের গোড়ায় ভালোকরে ঘষে ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দু’বার করে ব্যবহার করলে মাথায় আর খুশকি থাকবে না। পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করবে। লেবু মুখের রুচি বাড়ায়। শরীরের ভুঁড়ি কমাতে লেবু অনন্য। রূপচর্চায়ও লেবু পিছিয়ে নেই। রস নিংড়ে তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে, গলায় এবং হাতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ত্বকের তেলতেলে ভাব চলে যাবে। হাত-পায়ের নখে ভালোভাবে ঘষলে নখের কালচে রঙ দূর করবে এবং নখ হবে উজ্জল।