শিবগঞ্জে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য মোহা. গোলাম রাব্বানী

273

S.AUs

তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: গত ১৮ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ শিবগঞ্জ’র উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহা. গোলাম রাব্বানী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস.এম. আমিনুজ্জামান।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান কৃষি ও জনবান্ধব সরকার কৃষক ও জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেই দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশের উদ্বৃত্ত চাল ও সবজির পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুমিষ্ট আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। কাজেই দেশকে এগিয়ে নিতে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার প্রণোদনা স্বরূপ যে বীজ ও সার দিয়েছে সেগুলো যেনো সঠিক ভাবে ব্যবহার হয়, সেদিকে কৃষক ভাইদের খেয়াল রাখতে হবে। কৃষির উন্নত প্রযুক্তির সহায়তাদানে কৃষকের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের আহবান জানান।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩ শ’ ৫০ বিঘা উফশী আউশের জন্য ২ হাজার ৩ শ’ ৫০ জন ও ৯০ বিঘা নেরিকা জাতের জন্য ৯০ জন মোট ২ হাজার ৪ শ’ ৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক নির্বাচন করে আউশ প্রণোদনার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা মোতাবেক প্রত্যেক কৃষক ১ বিঘা উফশী আউশের জন্য ৫ কেজি বীজ এবং নেরিকা জাতের জন্য প্রত্যেক কৃষক ১ বিঘার জন্য ১০ কেজি বীজ এবং প্রত্যেককে ১ বিঘার জন্য ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমপি সার দেয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক কৃষককে সেচ সহায়তার জন্য উফশী আউশের জন্য ৪ শ’ টাকা এবং নেরিকা জাজের জন্য ৮ শ’ টাকা করে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হবে। নেরিকা জাত সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি উন্নত সহনশীল জাত। এ জাতের চাষে রোগ-পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কম হয়। সঠিক পরিচর্যা নিলে ফলন ভালো পাওয়া যাবে।

সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, নেরিকা জাতের চাল বিদেশে যথেষ্ঠ চাহিদা রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে উদ্বৃত্ত চাল বিদেশে রপ্তানি শুরু করেছে। কাজেই উন্নত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নেরিকা চাষে লাভবান হতে হবে। চাষাবাদের কৌশল বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দেয়ার জন্য তিান সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ শতাধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।