শীলা কাঁকরার কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন

616

k

ফার্মস এন্ড ফার্মার ২৪ .কম ডেস্ক: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ির পরই কাঁকড়া গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করছে। বাংলাদেশে মোট ১৫ প্রজাতির কাঁকড়া আছে যার মধ্যে ১১ টি সামুদ্রিক প্রজাতি।এ সামুদ্রিক প্রজাতিগুলোর মধ্যে শীলা কাঁকড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ববাজারে চাহিদা ও মূল্য বেশি।এ কাঁকড়া মূলত জীবিত অবস্থায় বিভিন্ন দেশে (যেমনঃ চীন, জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান ইত্যাদি) রপ্তানি করা হয়। কাঁকড়া রপ্তানির হার বছর বছর বেড়েই চলেছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ হতে প্রায় ২৩.১২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের কাঁকড়া রপ্তানি হয়। এসব কাঁকড়া প্রাকৃতিক উৎস হতে ধরা হয় এবং কিছু অংশ মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়।

বিশ্ববাজারে প্রবল চাহিদা ও ভাল দামের কারণে কাঁকড়া চাষ এখন বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো কাঁকড়া চাষের সকল পোনা প্রাকৃতিক উৎস ( যেমনঃ সুন্দরবন, প্যারাবন ম্যানগ্রোভ, মোহনা ইত্যাদি) হতে সংগ্রহ করা হয়। কারণ দেশে এখনও কাঁকড়ার কোনো হ্যাঁচারি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অধিক হারে আহরণের ফলে কাঁকড়ার প্রাকৃতিক উৎস প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়েছে। এ চাপ কমানোর জন্য এবং সময়মত ও চাহিদামত পোনা প্রাপ্তির জন্য কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন ও হ্যাচারি উৎপাদন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। হ্যাচারিতে কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে ইউএসএআইডি-একুয়াকালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন প্রকল্পটি ওয়ার্ল্ডফিস এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে কক্সবাজারে লোনা পানি কেন্দ্রে গত ডিসেম্বর ২০১৪-জানুয়ারী ২০১৫ সময়ে কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সাফল্যের সাথে পোনা উৎপাদন কার্যক্রম শেষ করে। উক্ত কার্যক্রমে উপক’লীয় মোহনা হতে ব্রুড কাঁকড়া সংগ্রহ করে তা কক্সবাজারের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে কক্সবাজারস্থ লোনা পানি কেন্দ্রে কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়। উৎপাদিত কাঁকড়ার পোনাগুলো মোট ৬ টি পর্যায় (zoeai-iv ও মেগালোপা) অতিক্রম করে ক্র্যাবলেট পর্যায়ে পৌছায়। কাঁকড়ার এ কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন বাংলাদেশে প্রথম। তাই শীলা কাঁকড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পোনা উৎপাদনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্দ্যেগ নেয়া প্রয়োজন।