সংস্কারের পরও চালু হয়নি কোটি টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠি হাঁস প্রতিপালন ইউনিট

341

হাঁস পালন

মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি থেকে: ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠি হাঁস প্রতিপালন ইউনিটটির সংস্কার কাজ শেষ হয়। ঝালকাঠি গাবখান ব্রিজের পাশে ইউনিটটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যান্ত এটি চালুর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার স্থাপন প্রকল্পের বরিশাল বিভাগের একমাত্র হাঁস প্রতিপালন ইউনিট এটি। এটি চালু হলে শুধু ঝালকাঠি নয় এ বিভাগে উন্নতমানের হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করা সম্ভব হতো। ফলে হাঁস পালনে আগ্রহী খামারিরা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে পারত।

ঝালকাঠি গাবখান এলাকার ২ একর জমির উপর ২০০৬-০৭ অর্থবছরের ২৩ এপ্রিল হাঁস প্রতিপালন ইউনিটটি চালু করা হয়। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইউনিটটিতে মাত্র দুই বছরের কার্যক্রম চালু ছিল।

২০০৯ সালের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ইউনিটের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই বিশাল ভবনসহ ইউনিট প্রাঙ্গণ অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে। এর দীর্ঘ সময় পর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে ইউনিটটি সংস্কার করে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।

ঝালকাঠি প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় মোট ছোট-বড় হাঁসের খামার আছে ১২২টি। এতে মোট হাঁসের সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৮টি। তারপরেও শুধু ঝালকাঠি জেলাই হাঁসের বাচ্চার চাহিদা আছে প্রায় ৪০ হাজার। এছাড়া বরিশাল বিভাগের অপর পাঁচটি জেলায় যে পরিমাণ হাঁসের বাচ্চার চাহিদা আছে তা পূরণ করা সম্ভব হতো এ ইউনিট চালু করা সম্ভব হলে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান জানান, ইউনিটটি সংস্কার করা হলেও এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই এটি কবে নাগাদ চালু করা হবে তা আমার জানা নেই। সম্ভবত লোকবলের অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করি, এটি আবার চালু হলে এ অঞ্চলের হাঁসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন