সরকার চালের এ মূল্যবৃদ্ধিতে খুশি: কৃষিমন্ত্রী

302

চালের দাম বৃদ্ধি

চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সরকার চালের এ মূল্যবৃদ্ধিতে খুশি বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘কৃষি তত্ত্ব সমিতি’র ১৮তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের চালের উৎপাদন বেড়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। চালের দাম বাড়াতে আমরা খুশি। গত ৮ মাস যাবত চাচ্ছি চালের দাম বাড়ুক। চালের দাম না বাড়লে চাষিরা উৎপাদন খরচ কীভাবে তুলবে? আমাদের ট্রাক যায় প্রতিদিন। ১ ছটাক চাল বিক্রি করতে পারে না। ৩০ টাকা কেজির চাল কেউ নেয় না। ডিলারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে মোটা চাল তোলার জন্য, কিন্তু তারা তুলছে না। মোটা চাল খারাপ কিছু না। মোটা চাল খাবে না কেন মানুষ! মোটা চালের দাম একটি টাকাও বাড়েনি। তারপরও মিডিয়া বলছে চালের দাম বেড়েছে।

বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, গত ৮ মাস মিডিয়ায় লেখালেখি হচ্ছে কৃষকরা চালের দাম পাচ্ছে না। পাইকাররা চালের দাম নিয়ে যাচ্ছে। সরকার কিছু করছে না। সুশীল সমাজ প্রচণ্ডভাবে আমাদের সমালোচনা করে আসছিল। নানাভাবে বলেছি, আমরা চেষ্টা করছি কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেওয়ার। কিন্তু পারছি না। চাষিরা চাষাবাদ করে, কঠোর পরিশ্রম করে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা কাজ করে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা কাজ করে। রক্ত পানি করে সোনালী ফসল ফলায় তারা। আর সেই কৃষক ধানের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এজন্য আমরা চিন্তিত ছিলাম। নানারকম কর্ম-পদক্ষেপ নিয়েছি। পলিসি লেভেলে এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৮ মাস ধরে মিডিয়া আমাদের সমালোচনা করেছে। কয়েকদিন আগে চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সংবাদপত্রে বেশকিছু নিউজ হয়েছে সরকারকে বিব্রত করে। সে প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছিল পেঁয়াজের মতো দাম বাড়ছে চালের।

কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতার কথা তুলে ধরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের জমি বাড়ছে না, ক্রমান্বয়ে কমছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এক জমিতেই বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সফল হয়েছি। আমি দেখেছি গোবিন্দগঞ্জ, রংপুর, ঈশ্বরদীতে চাষিরা একই জমিতে ৩-৪টি ফসল উৎপাদন করে। প্রথমে মাসকলাই করে, এরপরে আলু করে, রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করে।

সারা পৃথিবীতে নন্দিত হচ্ছে, প্রশংসিত হচ্ছে বাংলাদেশ। সারা পৃথিবীতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আইকন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন। এটাই আমাদের বিরাট অর্জন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার ভিত্তি সৃষ্টি করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ড. ওমর আলী প্রমুখ।