বিষমুক্ত বেগুন চাষে সফল সাদুল্যাপুরের আমিনুল

531

zakir-photo

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সাদুল্যাপুর উপজেলা। সম্প্রতি এ উপজেলায় অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি বিষমুক্ত বেগুন চাষ করেছেন উত্তর কাজীবাড়ী সন্তোলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম।

তিনি বিটি-২ জাতের বেগুন ৫০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ছাড়াই উৎপাদিত এই বেগুনের চাহিদা বাজারে ব্যাপক। ওই জমি থেকে তিনি এ পর্যন্ত সাড়ে ১৬ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। রমজান মাসে এই বেগুণের চাহিদা অনেক বেশি বলে তিনি জানান।

জৈবিক বালাই দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদের সাহায্যে বেগুন চাষে বেশ সফল হয়েছে কৃষক আমিনুল ইসলাম। আর রমজান মাসে বেগুনের উৎপাদন ও চাহিদা বেশি থাকায় এসময় বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।

এক সময়ের বেকার শিক্ষিত যুবক আমিনুল ইসলাম। সেক্স ফেরোমন পদ্ধতিতে ৫০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তাই আগামীতেও তিনি আরো কয়েক বিঘা জমিতে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করায় তার ক্ষেতে পোকার আক্রমন হয়নি বরং ফলনো হয়েছে আশাতীত।

কৃষক আমিনুল ইসলাম আরও জানান, জমির মধ্যে ছোট ছোট খুঁটি গেড়ে তাতে প্লাাস্টিকের বোয়াম দু’পাশে কেটে ঝুলিয়ে রেখে তার মধ্যে সাবান পানি দেয়া হয়। বোয়ামের এ সাবান পানির গন্ধে স্ত্রী পোকাগুলো পুরুষ পোকাকে প্রজননের জন্য আহ্বান জানান। এবং স্ত্রী-পুরুষ পোকাগুলো সে সময় বোয়ামে প্রবেশ করলে মেশানো পানিতে পড়ে মারা যায়। এ কারণে বেগুনের ফসলি জমিতে স্প্রে করতে হচ্ছে না কীটনাশক।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জোবায়দুর রহমান মামুন জানান, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে বিটি-২ জাতের বেগুন চাষ করতে হয়। ফলন দেয়া শুরু করে ৯০ দিনের মাথায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে টানা ৬ থেকে ৭ মাস বেগুন গাছ থেকে ফলন মিলবে। প্রতিবিঘা জমিতে এই জাতের বেগুন চাষে খরচ হবে ২৮০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদন হবে ১১০ থেকে ১২০ মণ বেগুন।

সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ফজলে এলাহী জানিয়েছেন, অনাবাদি পতিত এসব জমিতে বেগুন চাষ করে যেমন উপজেলায় সবজি উৎপাদন বাড়ছে। তেমনি উৎপাদিত হচ্ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত সবজি। একদিকে যেমন কম খরচে আবাদ করে কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান। অন্যদিকে ক্রেতারা পাচ্ছেন বিষমুক্ত সবজি।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম