সিলেট: সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহায় সিলেটে ২ লাখেরও বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে।
সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যমতে, এই বিভাগের ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন খামারির কাছে ২ লাখ ২ হাজার ৯০২টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে সিলেট জেলায় আর সবচেয়ে কম মৌলভীবাজারে।
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে পশু কিনে মজুদ করেছেন এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। কোরবানির জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই গরু কিনে মজুদ করেন তারা। গ্রামাঞ্চলের খামারিরা এখন সিলেটে এসে ব্যবসায়ীদের কাছে পশু বিক্রি করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও খামারিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পশুর দরদাম শুরু করেছেন। তবে ভারতীয় পশু আর চোরাকারবারিদের ভয়ে দাম নিয়ে অনেকটা চিন্তিত খামারিরা। প্রতি বছর সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু নিয়ে আসেন চোরাকারবারিরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন খামারিরা।
তবে স্থানীয় খামারিরাও এবার বেশি সংখ্যক পশু প্রস্তুত করেছেন। তাই সিলেটে এবার কোরবানির জন্য পশুর সংকট হবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী, খামারি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত খামারির সংখ্যা ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন। এসব খামারিদের কাছে ২ লাখ ২ হাজার ৯০২টি কোরবানির পশু আছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৫০টি ষাঁড়, বলদ ২৯ হাজার ৯১১, গাভী ১৯ হাজার ৬১৯, মহিষ ৫ হাজার ২০৭, ছাগল ১৯ হাজার ৯১৩, ভেড়া ৮ হাজার ৯৭৪ এবং অন্যান্য পশু ১২৮টি।
মৌলভীবাজার জেলায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত খামারির সংখ্যা ৭ হাজার ৪৭ জন। এসব খামারিদের কাছে কোরবানির পশু আছে ২৭ হাজার ৫০৭ টি। এরমধ্যে ষাঁড় ১৬ হাজার ৯০৩, বলদ ৩ হাজার ৩০৪, গাভী ২ হাজার ৩৩৬, মহিষ ৬৮১, ছাগল ৩ হাজার ৪৬১ এবং ৮২২টি ভেড়া রয়েছে।
হবিগঞ্জে ৩১ জুলাই পর্যন্ত খামারির সংখ্যা ৮ হাজার ১৩৭ জন। এসব খামারিদের কাছে কোরবানির পশু আছে ২৯ হাজার ৯৬টি। এর মধ্যে ষাঁড় ১৫ হাজার ৪০৫, বলদ ৪ হাজার ১০২, গাভী ৪ হাজার ৪৭২, মহিষ ৫৫৪, ছাগল ৩ হাজার ৩৯২, ভেড়া ১ হাজার ১৬১ এবং অন্যান্য পশু ১০টি।
সুনামগঞ্জে ৩১ জুলাই পর্যন্ত খামারির সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩৮ জন। এসব খামারিদের কাছে কোরবানির পশু আছে ৫৯ হাজার ১০৯টি। এর মধ্যে ষাঁড় ৩৫ হাজার ৮৫০, বলদ ১২ হাজার ৭৪৯, গাভী ৫ হাজার ১৩, মহিষ ৮৫৮, ছাগল ৩ হাজার ৩২৪ এবং ১ হাজার ৩১৫টি ভেড়া রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘সিলেট বিভাগে চাহিদা অনুযায়ী খামারগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু আছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এতে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবেন।’
সুষম খাবার ও নিয়মিত কৃমিনাশক ব্যবস্থাসহ পশু পালনের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। ইউএনবি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন