আশানুরূপ ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় এবার আখ চাষে সাবলম্বী হয়েছেন সীতাকুন্ডের অর্ধশতাধিক কৃষক। গতবারের তুলনায় এবার রোগবালাই কম হওয়ায় ও সঠিক সময়ে সেচের পানি পাওয়ার কারণে আখের দ্বিগুণ ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।পাশাপাশি বাম্পার ফলনের কারণে সীতাকুন্ডের সর্বত্র আখের চাহিদামতো সরবরাহ থাকায় সমান তালে আখ কিনছেন ক্রেতারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার সীতাকুন্ডের পৌর এলাকা, বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন, মরাদপুর ইউনিয়ন ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে অর্ধশতাধিক কৃষক আখের চাষ করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আখের চাষ হয়েছে বাড়বকুন্ডের হাতিলোটা গ্রামে। এই গ্রামের মনির হোসেন, সাইফুল, নুর সোলেমান, হাসান উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, কেরামত আলী ও আলমগীরসহ ২০ জন কৃষক প্রায় চার হেক্টর জমিতে আখের চাষাবাদ করেছেন। কৃষি কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীর কারিগরি সহযোগিতায় রোগবালাই দমনে সঠিক সময়ে কীটনাশক প্রয়োগসহ সময়পোযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ফলন হয় আশানুরূপ। এতে ১০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০ টন আখ উৎপাদিত হয়ে থাকে বলেও জানান তারা।
হাতিলোটা গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, ‘এবার ২০ শতক জমিতে তিনি আখের চাষ করেছেন। আখের চারা রোপণ, বাঁশ, কীটনাশক ও শ্রমিকের বেতন বাবদ তার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সঠিক সময়ে রোগবালাই দমন করায় তার জমি থেকে তিন হাজার পিচ আখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে তার খরচ বাদে ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।’
সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফকাত রিয়াদ জানান, ‘সীতাকুন্ডের পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নে এবার ১০ হেক্টর জমিতে ৬০ টন আখের আবাদ হয়েছে।’
রোগবালাই দমনে কৃষি অফিসের কারিগরি সহযোগিতায় আশানুরূপ ফলনে লাভবান হয়েছে কৃষক। পাশাপাশি লোকসানের ঝুঁকি কম থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধীরে ধীরে আখের চাষাবাদ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ফার্মসএন্ডফার্মার/জেডএইচ