জেলার কুলাউড়ায় সূর্যমুখী চাষ করে জেলায় সাড়া ফেলেছেন কুলাউড়া বরমচাল ইউনিয়নের ফুল চাষী সাব্বির উদ্দিন। তার ক্ষেতে সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন দেখে এলাকার অনেকের মনে আমার আলো জাগিয়েছে। সাব্বিরের পুরো মাঠে হলদে ফুলে মোহনীয় রুপ দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছে নানান বয়সের লোকজন। কুলাউড়া উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বরমচাল ইউনিয়নের খাদিমপাড়া-সিংগুর গ্রামে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হয়েছেন সিংগুর গ্রামের সাব্বির উদ্দিন।
কৃষি অফিসের মতে, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২০ বিঘা জমিতে কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। একই সঙ্গে সূর্যমুখী চাষ করে বেশি লাভবান হয়েছেন উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামের সাব্বির উদ্দিন।
চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হাইসান-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়। বরমচাল ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামের সূর্যমুখী ফুল চাষি সাব্বির উদ্দিন জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে হাইসান-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিকালে শহরসহ আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হলেও এ বছর সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হয়েছেন সাব্বির উদ্দিন। এ বছর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২০ বিঘা জমিতে হাইসান-৩৬ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে যে সয়াবিন তেল পাওয়া যায় তাতে কোনো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই। বাজার থেকে যে সাধারণ সয়াবিন তেল কিনি তাতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘কুলাউড়ায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনা মূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে হচ্ছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০১মার্চ২০