স্কুলের টিফিনে দুধ ও ডিম দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক কাজী ওয়াছি উদ্দিন রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অক্সফ্যাম ও বাংলাদেশ ডেইরী ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) আয়োজিত ”প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের বিকাশে সরকারি-বেসরকারি নীতিমালা ও সেবা: সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান। দুধ ও ডিমের ন্যায্যমূল্য পেতে এবং শিশুদের পুষ্টি নিরাপত্তায় এটি সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।
কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, শুধু দুধ বিক্রি করে আয় করার চিন্তা থেকে সরে এসে ভ্যালু এডেড পণ্য তৈরি করতে হবে। আমরা এসব বিষয়ে খামারিদের প্রশিক্ষণের চিন্তাভাবনা করছি। যদি ভ্যালু এডেড পণ্য আমরা বাজারজাত করতে পারি তাহলে ডেইরি সেক্টরের চেহারাই পাল্টে যাবে। এ সময় তিনি দেশের যেসব অঞ্চলে দুধের চিলিং পয়েন্ট স্থাপন করা দরকার সেগুলো স্থাপন করা হবে বলেন জানান।
ডেইরি খামারিদের উদ্দেশ্যে বলেন, খামারিদের প্রশিক্ষণ না থাকাতে দেশে স্মার্ট খামারি তৈরি হয়নি। খামার করার আগে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে, প্রশিক্ষণ ছাড়া যেন কেউ খামার না করেন। খামারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করলে বায়োগ্যাস ও জৈবসার উৎপাদনের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে দুধ ও মাংসের বাইরেও আয় করা সম্ভব বলে জানান ওয়াছি উদ্দিন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিকিৎসা নির্ভরতা থেকে সরে এসে ব্যবস্থাপনা নির্ভর হতে হবে। সঠিক ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সময়মতো টিকা প্রদান, জৈব নিরাপত্তা বিধান ঠিকমতো পরিপালন করলে খামার লাভবান করা সম্ভব। এতে করে চিকিৎসা ব্যায় কমে যাবে।
তিনি বলেন, গরু পালনের সবচেয়ে প্রধান উপকরণ কাঁচা ঘাস। আমরা ঘাস নিয়ে কাজ করছি। তিনি বলেন, ২০-৪০ দিন বয়সী কাঁচা ঘাসে প্রোটিনের পরিমান সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হলো অক্সালেট। আমাদের গবেষণারত ঘাস থেকে অক্সালেট দূরীকরনের বিষয়ে সিডনি ইউনিভার্সিটির সাথে কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, দানাদার নির্ভর খামার না করে ধান ও ভুট্টা গাছ দিয়ে সাইলেজ তৈরি করে গরুকে খাওয়ালে লাভবান হওয়া যাবে। তিনি উল্লেখ করেন প্রতি কেজি সাইলেজ উৎপাদনে আড়াই থেকে তিন টাকার মতো খরচ হয়। এতে করে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৮ফেব্রু২০২০