নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে হাঁসের খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন দুই যুবক। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন তারা। বর্তমানে তাদের খামারে হাজারের বেশি হাঁস রয়েছে। ওই দুই যুবক হলেন শফিকুল (৩২) ও মিঠু (৩৩)। শফিকুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে স্বল্প পুঁজি নিয়ে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন তারা। ছোটবেলা থেকেই তারা একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। তখন তাদের দুজনেরই তেমন উপার্জন ছিল না। একসময় ইউটিউবে এক ভিডিওতে দেখলেন হাঁসের খামার করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ওই ভিডিও দেখেই তারা উৎসাহিত হয়ে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন।
মিঠু বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু বাদে আরেকজন কর্মচারী এখানে রয়েছেন। প্রতিমাসে খামার থেকে আমাদের যা ইনকাম হয়, তাতে আমাদের সব খরচের পরও ভালো একটা লাভের অংশ থেকে যায়। বর্তমানে আমরা প্রতিদিন ২৮০ থেকে ২৮৫টির মতো ডিম পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আগে খাবারের দাম কম থাকায় আমরা লাভবান বেশি হতাম। এখন কিছুটা কম হলেও আমাদের চলতে কোনো কষ্ট করতে হচ্ছে না। ছয় মাস পর্যন্ত হাঁসগুলো ডিম দেবে। পরে মাংসের উপযোগী হলে হাঁসগুলো বিক্রি করলেও লগ্নি অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা পাওয়া যাবে। এলাকাবাসীর কাছ থেকেও আমরা ভালো সমর্থন পাচ্ছি। আমাদের দেখাদেখি অনেকেই এখন হাঁসের খামারের দিকে ঝুঁকছেন।’
ইসরাফিল নামের ওই এলাকার এক যুবক বলেন, ‘তাদের খামার দেখতে মাঝেমধ্যে এখানে আমার আসা হয়। তাদের মতো আমারও হাঁসের খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. হোসাইন বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে নিজ উদ্যোগে উদ্যোক্তা হন, অনেকেই তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।
এসব উদ্যোক্তা যদি সব ধরনের সহযোগিতা পান, তাহলে দেশ ও জাতির বেকারমুক্ত হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।’
এ বিষয়ে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তাদের বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে যা করা সম্ভব সব আমি করব।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখে দুই বন্ধুর হাঁসের খামার গড়ে তোলা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এভাবে অনেকেই নিজেদের বেকারত্ব দূর করেছেন। অধিদপ্তর থেকে তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হচ্ছে।