হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মুরগি, বিপাকে খামারিরা

196

চলছে বসন্তে গ্রীষ্মের খরতাপ। বৃষ্টির দেখা নেই সপ্তাহ জুড়েই চলছে দাবদাহ। এতে প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোকে চারঘাটে পোলট্রি খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত গরমে খামারের হাজার হাজার মুরগি মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোলট্রি খামারিরা।

উপজেলার প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫৭০টি মুরগি খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার খামার রয়েছে প্রায় ৩৫০টি। ব্রয়লার খামারের ওপর নির্ভরশীল অনেক খামারি বর্তমানে গরমের কারণে প্রতিদিনই খামারের মুরগি মারা যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। প্রচ- গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। বিকল্প জেনারেটর না থাকাসহ খামারে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকতে না পারাও হিটস্ট্রোকের কারণ।

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, হিটস্ট্রোক কোনো রোগ না, এটা সচেতনতার অভাব। গরমের হাত থেকে যদি মুরগিকে রক্ষা করা যায় তাহলেই হয়তো হিটস্ট্রোক থেকে মুরগি মারা যাওয়া থেকে কিছুটা বাঁচা যাবে।

উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের খামারি ওবাইদুর রহমান রিগেন বলেন, আমার ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি এবং প্রচ- গরমের কারণে গত এক সপ্তাহে আমার প্রায় দেড় হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। ফলে লোকসান দিয়ে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত হিটস্টোকের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।

শলুয়া ইউনিয়নের চকগোচর গ্রামের মুরগির খামারের মালিক হাবিবুর রহমান জানান, খামারে মুরগিগুলো দাবদাহ সহ্য করতে পারছে না। খামারে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা লাগিয়ে, পানি ছিটিয়ে ও ভিটামিন-জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে হিটস্টোকে তাঁর খামারে ৪৮০ টি মুরগি মারা গেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নাজনিন নাহার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা করতে হবে। খামারের ভেতরে ঠান্ডা পানি ছিটানো এবং মুরগিকে খোলামেলা পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ভেতরে ফ্যানের বাতাস এবং মুরগিকে ভিটামিন-জাতীয় ওষুধ দিতে হবে। তাহলে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা যাওয়া কমে যাবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৪মে ২০২২