গোয়ালঘর নির্মানের জন্য উঁচু সমতল ভুমি,যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না এবং জমলেও নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা আছে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে গোয়াল ঘর নির্মাণ করতে হবে।
প্রাণীর সাস্থ্য ও আরাম।
সহজপাপ্য নির্মান সামগ্রী ব্যবহার।
উপযুক্ত সাস্থ্যসম্মত নিয়মাবলী পালন করার সুবিধা।
গোয়ালঘর যেমন হবে:-
১। গোয়ালঘর সাধারণত দক্ষিণামুখী হওয়া ভাল।
২। গোয়ালঘর সমতল ভুমি হতে ১ফুট উঁচুতে শুকনাস্থানে হতে হবে।
৩। মেঝে হালকা ঢালু থাকবে যাতে সহজেই গরুর চনা (প্রস্রাব) কিনারে চলে যায় এবং ঘর শুকনো থাকে।
৪। একচালা ঘরের উচ্চতা সাধারণত ৮-১০ ফুট এবং দুচালা ঘরের মধ্যবর্তী উভয় চালের শীর্ষদেশ ১২-১৪ ফুট এবং ঢালু অংশের উচ্চতা ৭ ফুট
হওয়া প্রয়োজন।
৫। ঘরের ভিতরে বয়স্ক গরুর জন্য অন্তত ৪ ফুট প্রশস্ত ও ৭-৮ ফিট দৈর্ঘ্য জায়গা প্রয়োজন। খাবার পাত্রের জায়গা বাদে। এবং গোয়ালঘরের ময়লা অপসারণের ড্রেনের জন্য ১ ফিট জায়গা রাখতে হবে। (খেয়াল রাখবেন,ড্রেন যেন চাঁদের মত করে করা হয়,কোন ভাবেই স্কয়ার ড্রেন করা ঠিক নয়।)
৬। ৪/৫ টা গরু হলে এক সারিতে রাখা যেতে পারে,এজন্য একচালা ঘরই যথেষ্ট।
৭। ৮/১০ বা আরো বেশি গরু হলে দুচালা ঘর নির্মাণ করতে হবে এবং গরুকে দুসারিতে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। উভয় সারির গরুর সম্মুখে খাদ্য দেওয়ার জন্য কমন খাবার পাত্র থাকবে। এক্ষেত্রে উভয় সারির গরুর পিছনের ভাগ বহির্মুখী এবং সামনের ভাগ অন্তর্মুখী থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে গরুর খাবার পাত্র যাতে বেশি উঁচু না হয়।
৯। সংকর জাতের গরু অধিক গরমে কাতর, তাই গোয়ালঘর শীতল রাখার জন্য ঘরে সিলিং ফ্যান ও উত্তরে দক্ষিণে খোলা আলো বাতাস পূর্ন হতে হবে।
১০। শীতকালে প্রয়োজনে গরুর গায়ে ছালা ও মেঝেতে শুকনো খড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১। গরুর সাস্থ্য সুরক্ষায় খাবার পাত্র ব্যবহার ও তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
১২। সময়মত গরুর গোবরসহ অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
১৩। গোয়ালঘরের আশেপাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে,যাতে মশা মাছির উপদ্রব কম হয়।
১৪। গেয়ালঘরের আশেপাশে যেন কোথাও পানি জমে না থাকে, জমে থাকলে মশা মাছির উপদ্রব বাড়বে।
১৫। মাঝেমাঝে গোয়াল ঘরের ফ্লোর, দেয়াল ও গোয়ালঘরের আশেপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১