১৫ একর জমির ধান ইঁদুরের পেটে!

323

Agailjhara-Photo--(1)60000

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রায় ১৫ একর জমির প্রায় ৭০০ মণ আমন ধান গেছে ইঁদুরের পেটে। এ ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের কৃষকরা চলতি বোড়ো মৌসুমে বেসরকারি এনজিও কারিতাসের সহযোগিতায় সুফল-২ প্রকল্পের আওতায় লাল পাইকা জাতের ধানের বীজ ১৭ একর জমিতে রোপণ করেন।

ওই গ্রামের কৃষক দীপঙ্কর বাড়ৈ বলেন, শ্রাবণ মাসের মধ্যবর্তী সময়ে ৮০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করি। প্রতিকূল আবহওয়ার মধ্যেও ফলন ভালো হয়েছিল। ৩৫-৪০ মণ ধান পাব বলে আশাবাদী ছিলাম। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে জমির সম্পূর্ণ ধান ইঁদুরে কেটে ফেলার কারণে একমুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারিনি। ইঁদুরে কাটা শুরু করলে ধান রক্ষা করার জন্য জমিতে থাকা ইঁদুরের আবাসস্থল ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়া ইঁদুর মারার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও ধান রক্ষা করতে পারিনি।

কৃষক শঙ্কর রায় জানান, তিনি এক জমিতে ধান বীজ রোপণ করেন। ফলন বেশ ভালো হওয়ায় তার আশা ছিল, জমি থেকে প্রাপ্ত ধান বিক্রি করে সে টাকা ব্যবসায়ে খাটাবেন। কিন্তু ইঁদুরের কারণে তার সব স্বপ্ন ভেস্তে গেল।

কৃষক প্রফুল্ল বেপারী বলেন, আমি এনজিও থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৮০ শতাংশ জমি চাষ করি। আশা ছিল প্রায় ৪০ মণ ধান ঘরে তুলব; কিন্তু ইঁদুরের কারণে আমাকে আর কাঁচি নিয়ে ক্ষেতে যেতে হয়নি।

এ ব্যাপারে বেসরকারি এনজিও কারিতাসের কৃষি প্রযুক্তি কর্মকর্তা নোবেল বিশ্বাস বলেন, ইঁদুরে ধান কাটার সংবাদ জানতে পেরে উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায়ের পরামর্শে কৃষকদের ইঁদুর নিধনসহ এর প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিই। তাতেও ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে পারেননি কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, কারও একার পক্ষে ইঁদুর নিধন সম্ভব নয়। সব কৃষক একসঙ্গে একই দিনে ইঁদুর নিধন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এর নিধন সম্ভব।

৫ বছরে ডিম ও ‍মুরগির দামে কমায় রেকর্ড

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন