টাঙ্গাইলের সখীপুরে গৌরমতি আম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন লন্ডন ফেরত যুবক শাহীন আহাম্মেদ। ভালো ফলন ও অন্যান্য জাতের মৌসুম শেষে গৌরমতি আম পাকায় চড়া দামে বিক্রির প্রত্যাশা করছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা শাহীন আহাম্মেদ। নতুন জাতের গৌরমতি আম চাষে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই আম চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে লন্ডনে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে প্রথমে পেয়ারার বাগান তৈরি করেন সখীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহীন আহাম্মেদ। পেয়ারার বাগান থেকে বেশ সফলতাও পান তিনি। এরপর প্রায় তিন বছর আগে নাটোর মহিলা কলেজের শিক্ষক কৃষিবিদ গোলাম মওলাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দেওয়ানচালা এলাকায় গৌরমতি আমের বাগান করেন। টপ কাটিং পদ্ধতিতে এই পাঁচ একর জমিতে এক হাজার ৭০০ আমের চারা লাগানো হয়। এর মধ্যে এক হাজার গাছে আম এসেছে। প্রায় ৩৫ হাজার আমে ফুড ব্যাগিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বাগানে এই উদ্যোক্তার প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবার প্রথম অবস্থায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি। অসময়ে আসা এই গৌরমতি আম আগামী ১৫ আগস্টের পর থেকে বাজারজাত করা হবে।
তরুণ উদ্যোক্তা শাহীন আহাম্মেদ বলেন, ‘বিদেশে পরাধীন জীবন। সেখানে কাজ করতে হয় অন্যের অধীনে। নতুন কিছু করার চিন্তা থেকেই এই আম বাগান করা হয়েছে। মূলত ইউটিউব দেখে আমবাগান করায় উদ্ধুদ্ধ হই। পাঁচ একক জমিতে এক হাজার ৭০০ আমের চারা লাগানো হয়েছে। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবার প্রথম পর্যায়ে ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা করছি। পরবর্তী বছর থেকে আমার পুরোটাই লাভ হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, ‘এটি নাবি জাতের অত্যন্ত সুমিষ্ট আম। বাগানে প্রায় ৩৫ হাজার আমে ফুড ব্যাগিং করা হয়েছে। যেটা অত্যন্ত নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম। অসময়ে হারভেস্ট হওয়ায় এই তরুণ উদ্যোক্তা চড়া দামে আম বিক্রি করতে পারবেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। তার দেখাদেখি আরও অনেকেই গৌরমতি আম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’