ভোলায় ১৫ হাজারেরও বেশি কৃষক পাচ্ছেন প্রণোদনা

347

কৃষিঋণ

ভোলা: জেলার ৭ উপজেলায় ১৫ হাজার ২২৫ জন কৃষকের মাঝে সরকারিভাবে রবি শস্যের প্রণোদনা বিতরণ করা হবে। স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে সরিষা, ভুট্রা, খেসারী, ফেলন, বিটি বেগুন, চিনা বাদাম, মুগ ও বোরো ধানের জন্য উন্নত সার এবং বীজ প্রণোদনা দেয়া হবে।

আগামী রোববার থেকে এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বীনয় কৃষক দেবনাথ জানান, মূলত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সরকারি এসব বীজ ও সার পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রতিবছরই সরকারি এ সহায়তার পরিমাণ বাড়ছে। গত বছরের চেয়ে এবছর ৫ হাজার ২২৫ জন চাষি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রণোদনা প্রাপ্তিতে।

তিনি বলেন, এছাড়া আমাদের বীজ বিতরণের ফলে নতুন নতুন উন্নত জাতের সাথে পরিচিত হচ্ছে চাষিরা। সুষম সার ব্যাবহার বাড়ছে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এককথায় সরকারের এসব প্রণোদনায় কৃষি খাত সমৃদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, প্রতি কৃষককে ভুট্টার জন্য উন্নত বীজ দেয়া হবে ২ কেজি। ডিএপি সার দেয়া হবে ২০ কেজি এবং এমওপি সার ১০ কেজি। সরিষার জন্য ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। চিনামাদামের জন্য ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। মুগডালের জন্য বীজ দেয়া হবে ৫ কেজি করে, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

একইভাবে খেসারীরর জন্য ৮ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। ফেলন ডালের জন্য বীজ দেওয়া হবে ৭ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি। বিটি বেগুনের বীজ বিতরণ হবে ২০ গ্রাম, ডিএপি ২০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। বোরো ধানের জন্য প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি করে বিতরণ করা হবে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, জেলার মোট ১৫ হাজার ২২৫ জন প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে সদরে রয়েছে ২৩শ ৬৫ জন, দৌলতখান উপজেলায় ১৫শ ৮০, বোরহানউদ্দিনে ১৭শ ৯৫, তজুমুদ্দিনে ১৩শ ৩৩, লালমোহনে ২৩শ ১০, চরফ্যাসনে ৪৫শ ৪৫ ও মনপুরা উপজেলায় ১৩শ কৃষক রয়েছেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন