জয়পুরহাট : জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা তুলশীগঙ্গা নদীর আক্কেলপুর পয়েন্টে ভাসমান খাঁচায় মাচ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা কোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির বেকার সদস্যরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জেলার বুক চিরে বয়ে চলেছে তুলশীগঙ্গা নদী। এ নদীর আক্কেলপুর উপজেলার শ্রীরামপুর ব্রিজ সংলগ্ন কোলা গনিপুর নামক স্থানে ভিয়েতনাম থেকে আনা ভাসমান খাঁচায় এখন মাছ চাষ করছেন ওই এলাকার ২০ জন পুরুষ, মহিলা ও যুবক-যুবতী নিয়ে গঠিত কোলা গনিপুর সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
স্থানীয় মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় সাহস ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের মাধ্যমে অনেক কিছু করার স্বপ্নও দেখছেন স্থানীয়রা। আক্কেলপুর মৎস্য বিভাগ ও সমিতির যৌথ অর্থায়নে প্রথমে চার লাখ টাকায় শুরু করা হয় ভাসমান মৎস্য চাষ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম বলেন, ভিয়েতনাম থেকে আনা ভাসমান খাঁচা গুলো চাঁদপুর থেকে সংগ্রহ করে তুলশীগঙ্গা নদীর কোলা গনিপুর নামক স্থানে স্থাপন করা হয়। মাছ যাতে চুরি না হয় সে জন্য পাশে সার্চ লাইট বসানোসহ বাঁশের মাচং তৈরি করে দিনে রাতে পাহারা দেয় সমিতির সদস্যরা। বর্তমানে খাঁচায় তেলাপিয়া, মনোসেকস তেলাপিয়া, টেংরা, পাঙ্গাস, সিলভার কাপ, পাবদা মাছ চাষ করা হচ্ছে। চার মাস আগে স্থাপন করা ১০টি খাঁচায় কেজিতে ১৫টি হিসাবে ১৪০ কেজি তেলাপিয়া পোনা ছাড়া হয়। এতে খরচ পড়ে ১৯ হাজার টাকা। বর্তমানে একেকটি তেলাপিয়া মাছের ওজন হয়েছে ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৭শ, ৮শ গ্রাম পর্যন্ত যা বাজার মূল্যে এক লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম।
বাঁশের মাচা তৈরি করে স্থানীয় ভাবে অল্প খরচেও খাচায় মাছ চাষ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। গ্রামের বেকার যুবক-যুবতীদের ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি অন্যন্য এলাকার যুব সমাজ মাছ চাষে এগিয়ে আসছেন বলে জানান কোলা গনিপুর সোনালী মৎস্যচাষ সমবায় সমিতির সভাপতি নূর ইসলাম।
ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে বছরে তিন বার মাছ বিক্রি করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
আক্কেলপুর উপজেলা মৎস্য বিভাগের পরামর্শে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে বছরে খরচ বাদে দুই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে সমিতির সদস্যরা জানান। ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে অন্যান্য এলাকার বেকার যুবরা ও বর্তমানে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ্ বিএসএস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন