দিনাজপুর প্রতিনিধি তনুজা শারমিন তনু: সমবায় ভিত্তিতে মৎস্য চাষের মাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য বয়ে এনেছে দিনাজপুরের কয়েকজন মৎস্যজীবী। সরকারি খাস জমি লিজ নিয়ে কয়েকজন মৎস্যজীবী চিরিরবন্দর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা বিন্ন্যাকুড়িতে গড়ে তুলেছেন আধুনিক মাছের খামার। খামারে উৎপাদিত মাছ জেলার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। নিজেদের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে এই সমবায় সমিতি। এই সমবায় সমিতির সাফল্য দেখে অনেকেই ঝুকছেন মৎস্য চাষে।
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলো মিটার উত্তর-পূর্বে চিরিরবন্দর ্উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চল বিন্ন্যাকুড়ি। এ এলাকাতেই বৃত্তাকারে প্রাায় দেড় একর বোচা পুকুরে চলছে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ। এক সময়ের ৩০ জন মৎস্যজীবী এখন এ এলাকার সফল মৎস্য খামারী। ২০১২ সালে বিন্ন্যাকুড়ি বাজার মৎস্যজীবী সমিটি নামে একটি সংগঠনের নামে প্রাথমিক অবস্থায় তারা গড়ে তুলেন এ মৎস্য খামার। এখন তারা আধুনিক পদ্ধতিতে করছেন মৎস্য চাষ। পরাধীনতা কাটিয়ে তুলে মৎস্য খামার করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছেন তারা। ব্যয় বাদ দিয়ে প্রতিবছর ৩ লাখ থেকে ৪লাখ টাকা তাদের বাৎসরিক মুনাফা থাকছে। তাদের সাফল্য দেখে অনেকে শেয়ারে ব্যবসা করার জন্যে হাত বাড়িয়েছেন। এই আধুনিক মৎস্য খামার দেখতে অনেকেই ছুঁটে আসছে।
নিজেদের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তারা। মৎস্য খামারে নিয়মিত অনেকে কাজ করছেন। এক সময়ের বিমূখ স্থানীয় লোকজনও মৎস্য খামার দেখে জিয়াউরের প্রশংসা ও সাফল্য কামনা করছেন। আধুনিক এ মাৎস খামার দেখে আশাবাদী মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তারাও। সমবায় ভিত্তিতে মাছ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য বয়ে এনেছেন,এই মৎস্যজীবীরা। তাদের সাফল্য এখন অনেকের অনুপ্রেরণা। সরকারী পৃষ্ট-পোষকতা পেলে তাদের মাছ পরিধি আরও বেড়ে পাবে বলে আশা করছেন মাছ চাষীরা।