পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেছেন, “চলতি অর্থ বছরে ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে মাছে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে যাবে।”
সোমবার বিবিএস আয়োজিত বাস্তবায়নাধীন কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি প্রকল্পের আওতায় ২য় জোনাল অপারেশনে নিয়োজিত বিভাগীয়/জেলা সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষ্ণা গায়েন বলেন, “কৃষি অবকাঠামোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ব্যুরো কৃষি শুমারি ২০১৮ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এটি বিবিএস’র একটি বড় কাজ। যা পারস্পরিক সহযোগিতা ও কর্মনিষ্ঠা ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।”
তাই তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে চার নম্বরে। পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই জাতীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চীনের উদ্ভাবিত মাছের জাত এখন বাংলাদেশের সাফল্য। এসব দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাছ উৎপাদনে প্রথম চীন এবং দ্বিতীয় ভারত। ২০২২ সালে বাংলাদেশই মাছ উৎপাদনে প্রথম হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস, অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাফর আহাম্মদ খান ও অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন এবং মাহমুদা আকতার।