সাদা ফুলে কালো সোনা

620

পেয়াজ
ইলিয়াস আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর কৃষকরা এখন ঝুঁকেছে পেঁয়াজের বীজ চাষে। জেলার অনেক মাঠগুলো এখন ভরে আছে পেঁয়াজ ফুলে। সাদা ফুলের মাঝে এ কালো সোনাতেই অনেক কৃষক আগামীর স্বপ্ন বুনছে। লাভ বেশি হওয়ার কারণে দিনে দিনে পেঁয়াজের বীজ চাষ বাড়ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, গত বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে চাষ হয়েছিল ২৫৪ হেক্টর। চলতি বছর ২০ হেক্টর বেড়ে উৎপাদন হচ্ছে ২৭৫ হেক্টর জমিতে। পানি খরচ কম ও উৎপাদিত বীজের বাজার মূল্য আকাশছোঁয়া থাকায় অনেক কৃষক অন্যসব ফসলের চেয়ে পেঁয়াজের বীজ চাষেই ঝুঁকছেন।

ধানের চাষ করে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে কৃষকরা এখন অন্য আবাদের দিকে ঝুঁকেছে। এদের অনেকেই বেছে নিচ্ছে পেঁয়াজের বীজ চাষ।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৯৫ হেক্টর জমিতে পেয়াজের বীজ চাষ হয়েছে। পেয়াজের বীজ রোপনের উপযুক্ত সময় নভেম্বর মাস। রোপনের সময় হতে প্রায় ৪ মাস সময় লাগে পেয়াজের বীজ উঠতে। ১ বিঘা পেঁয়াজের বীজ চাষের জন্য জমিতে ৫ থেকে ৬ মণ পেঁয়াজ রোপন করতে হয়। চাষ হতে বীজ উঠতে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। ১ বিঘা জমি হতে বীজ পাওয়া যায় দুই হতে আড়াই মণ। সময়ের ব্যবধানে বাজারে এক মন বীজ বিক্রি হয় ৯০ হাজার হতে দেড় লাখ টাকা।

উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের কৃষক হাইদার আলী জানান, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছে। তার ভাল ফলনের সম্ভাবনা আছে। দাম পেলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হবেন তিনি। তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের বীজ ঘরে তোলার সময় হয়ে গেছে। কয়েক দিন পর জমি থেকে পেঁয়াজ বীজ ঘরে তুলবেন। সব চাইতে ভয়ে আছেন ঝড় শিলা বৃষ্টি নিয়ে।

কৃষক শরিফুল বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পেয়াজের বীজ চাষ করেছেন এবং এ জমি থেকে তিনি অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারকে বলেন, এবার জমিতে পেয়াজের বীজ ভাল রয়েছে। ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোন জমিতে পেয়াজ বীজের ক্ষতির খবর পাননি। তিনি আরো পেয়াজ বীজের বেশ কিছু ক্ষেত পরির্দশন করেছেন। ক্ষেতে পেয়াজ বীজ ভাল হয়েছে, এখন বড় ধরনের ঝড় শিলা বৃষ্টি হলে আংশিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ আরাফাত/ মোমিন