ফল খাই বল পাই আসুন ফলের গাছ লাগাই। বাড়ির কাছে ফলের গাছ সুখে থাকবো বারো মাস। কৃষিতে সমৃদ্ধ আমাদের এবাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার ফল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে আম রুপে, গুণে, স্বাদে, দামে ও পুষ্টিতে অতুলনীয়। আবার আম হলোফলের রাজা।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেন, একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ১১৫ গ্রাম ফল খেতে হয়। কিন্তু সীমিত উৎপাদনের কারণে আমরা খেতে পারছি মাত্র গড়ে ৪০-৪৫ গ্রাম। তাই ফল উৎপানে আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২-৩ বছরের একটি বারিআম-৪এর গাছ থেকেই ৫০-৬০টি আম সংগ্রহ করা যায়। এভাবে একটি পরিবারে যদি ৪/৫টি বারি আম-৪ এর গাছ রোপন করা যায় তাহলে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটানো সম্ভব। কুমিল্লা অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ যেন সহজ উপায়ে ফল খেতে পারে এবং নিজেই নিজের জমিতে ফলের বাগান করে ফলের চাহিদা মিটাতে পারে এ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করাই এ মাঠ দিবসের উদ্দেশ্য।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রে(বারি) উন্নীতকরণ প্রকল্প এর অর্থায়নে, আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা এর সহযোগিতায়, রতনপুর ব্লকে, বারপাড়া গ্রামে, কৃষক হারিছুর রহমানের ২ একর জমিতে আমের উন্নত হাইব্রিড জাত, বারিআম-৪ উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক ৩ জুলাই কৃষক মাঠ দিবস পালন করা হয়।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। সভাপতিত্ত্ব করেন-ড. মো. আলমগীর সিদ্দিকী, প্রকল্প পরিচালক, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রে উন্নীতকরণ প্রকল্প। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ মো. তারিক মাহামুদুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা; কৃষক মো. হারিছুর রহমান, সাবেক পরিচালক, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ মো. আইয়ুব হোসেন খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা।
সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন