দেশের কৃষিকে লাভজনক করার জন্য যান্ত্রিকীকরণ বা আধুনিকায়ন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, কৃষির আধুনিকায়ন তথা যান্ত্রিকীকরণের জন্য দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আসুন আমরা এমন কিছু কল্যাণকর কাজ করে যাই, যা মানুষ মনে রাখবে যুগ যুগ ধরে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত কৃষি যন্ত্রপাতি এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে মজবুত, টেকসই গাড়ির পরিচিতি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে রয়েছে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ উপহার দিতে হলে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের সহযাত্রী হতে হবে সবাইকে।
তিনি বলেন, বোরো ধানের মূল্য নিয়ে আমরাও চিন্তিত। কৃষক যদি তার ফসলের ন্যায্য মূল্য না পায়, তা হলে তারা বাঁচবে কী করে? কৃষক বাঁচাতে হলে কৃষির উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আধুনিক কৃষির। বিদেশের বাজার থেকে কৃষিপণ্য দেশে আনার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এদেশে দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গেছে। দেশ ভাগের আগ থেকে পর পর্যন্ত সব সরকার বলেছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা। একমাত্র ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল, উন্নয়নের রোল মডেল। বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে সরকার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হচ্ছে, জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের বিষয়। এর পেছনে মায়ের মতো মমতা দিয়ে সাহস যুগিয়েছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্যই আজ আমরা স্বপ্ন দেখি উন্নত বাংলাদেশ।
মা এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রিয়ার এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী সারোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন