মেহেরপুরে পতিত জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান চাষিরা

1805

চিনাবাদাম চাষ

পতিত ও অনাবাদি বেলেমাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজারদর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ। জেলার সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে।

ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না। ধান কাটার পর এসব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এ জন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ আর এ ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের কৃষকরা জানান , এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনাবাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজারদর ভালো। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনাবাদামের চাষ শুরু করছেন।

এ ছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার ও বিক্রি লাভবান হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ