পেয়াজের বর্তমান বাজার মূল্য ১৮০ টাকা। এক কথায় ২০টি পেঁয়াজের দাম ১৮০ টাকা। গড়ে একটি পেঁয়াজের দাম সাড়ে ৯ টাকা। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শহর ও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে পেঁয়াজের বাজারে এমন দামেই চলছে। একরাতের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম আরও ৩৫ টাকা বাড়লো।
বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজের মজুদও প্রায় শেষ। তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ে পেঁয়াজ পরিবহনে বিঘ্ন ঘটায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর এক লাফে দাম বেড়ে যাওয়াটা ব্যবসায়ীদের নতুন আরেকটি অজুহাত মাত্র। যথাযথ নজরদারির অভাবে প্রশ্রয় পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ প্রচুর থাকলেও মোকামে ঘাটতি কথা বলে এই চক্র সকল ধরনের পেঁয়াজ পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ মৌসুমে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসছে না পেঁয়াজের দাম।
গত মঙ্গলবার সংসদে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেছিলেন, `শিগগিরই পেঁয়াজের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে উপজেলা পর্যায় বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।` অথচ এ-ই উপজেলায় পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পেঁয়াজের দাম ১০০-র নিচে নামার সম্ভাবনা নেই এমন বক্তব্যও তাদের উৎসাহ জুগিয়েছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে।
বুধবার উপজেলার আড়তগুলোতে প্রতি কেজি মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিসরের পেঁয়াজ ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তা বেড়ে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে কেনাবেচা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়লেও খুচরায় বেড়েছে আরো বেশি। খুচরায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ভালো মানের পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও সাধারণ দেশি পেঁয়াজ ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বাজারভেদে দামের তারতম্য অনেক বেশি ছিল।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, `এ বিষয়ে আমাদের বাজার মনিটরিং সেল কাজ করছে। এখন থেকে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।`
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ