গতানুগতিক কাজ বাদ দিয়ে ইনোভেটিভ হতে হবে। ফসলের উৎপাদন এর লক্ষ্যমাত্রা ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্ধারণ করে জানাতে হবে। একই ফসল নিয়ে কয়েকজন কাজ করেন তবে সবাইকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। ফসলের ক্ষেতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে যে সব খাল খনন করা হয়েছে;খননের ফলে এর ফলে সে এলাকার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুফলগুলো বের করতে বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মাসিক এডিপি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডাল ও তৈল উৎপাদন বৃদ্ধিতে যারা কাজ করছেন তারা আগে থেকেই কি পরিমান বীজ উৎপাদন করবেন এবং তা থেকে কি পরিমান তেল ও ডাল পাওয়া যাবে নির্ধারণ করতে হবে। কতজন কৃষককে কি পরিমান বীজ দেয়া হবে তাও জানাতে হবে। বারী ও বীণাকে উদ্যোক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাগ্রহণের আহবান জানান তিনি। পেয়াজের বিকল্প হিসেবে চিভ চাষ বৃদ্ধির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী ।
ধান ও চালের আদ্রতা মাপার যন্ত্র সরবরাহ করা হবে জানান কৃষি সচিব। প্রতিটি গ্রামে ২টি করে নিরাপদ সবজি চাষের যায়গা নির্বাচিত করা হয়েছে;কৃষি সম্প্রসারণের মহাপরিচালক এমনটি জানান সভায়। গবেষণা কার্যক্রম জোড়দার করার জন্য গোপালগঞ্চ জেলায় ২০ একর যায়গাজুড়ে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগীয়ে চলছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান প্রতিটি জেলার বাজারে নিরাপদ খাদ্য কর্ণার স্থাপনের কাজ চলমান। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ