অবিক্রিত অবস্থায় হাজার হাজার মে. টন লবণ

342

Untitled-3_1

হাজার হাজার মেট্টিক টন লবণ কক্সবাজারের টেকনাফসহ পুরো জেলায় এখনো অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । মালিকরা এসব লবণ মাঠের আশে পাশে মজুদ করে রেখেছেন। উৎপাদন খরচের বিপরীতে লবণের মূল্য অনেক কম হওয়ায় তারা বিক্রি না করে মাঠে লবণ ফেলে রেখেছেন।

ব্যবসায়ীরা টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের দু,পাশে অবিক্রিত লবণ মওজুদ করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। গত ২ মৌমুসের লবণ অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সুত্র জানায়, গত মৌসুমে কক্সবাজারে ১৮ লক্ষ ২৪হাজার মেট্টিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বিক্রির পর বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে সাড়ে ৪ লাখ মেট্টিক টন লবণ অবিক্রিত আছে। লবণ নিয়ে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা লবণ চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছেন। কমমূল্যের কারণে হাজার হাজার মেট্টিক টন লবণ সেখানে অবিক্রিত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে।

ব্যবসায়ী আব্দুল গাফফার ও আব্দুস ছালাম কালু জানান,উৎপাদনের চেয়ে মূল্য কম হওয়ায় বিগত মৌসুমের ১৫ টন লবণ অবিক্রিত পড়ে আছে। খরচ না পোষালে কিভাবে লবণ ব্যবস্যা করব? প্রতি বছর লোকসান দিয়ে এভাবে ব্যবসা করা যায় না।

হ্নীলা লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মুহাম্মদ আনিম জানান,ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় গত মৌসুমে লবণ জমিয়ে বড় ধরণের ভূল করেছি। লবণ চাষ করে বর্তমানে লাখ লাখ টাকার ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।

হ্নীলা লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছাবের খাঁন জানান, শুধু হ্নীলাতেই ১৫ হাজার মেট্টিক টন লবণ অবিক্রিত পড়ে আছে। উৎপাদন খরচের চেয়ে মূল্য কম হওয়ায় লোকসান হচ্ছে বিধায় ওই লবণ এখনো জমা রেখেছেন। পরবর্তী মৌসুম চলে আসার সময় হলেও ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রি করতে পারছেন না। তিনি লবণের ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিসিক টেকনাফের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, লবণ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই। মূল্য কম হওয়ায় টেকনাফেও ১৫ হাজার মেঃ টন লবণ অবিক্রিত আছে। বিসিক কক্সবাজারের উপমহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমদ জানান, বিশেষ একটি শ্রেণী ফায়দা লুটিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, মূল্য না থাকায় শুধু কক্সবাজারসহ পুরো দেশে সাড়ে ৬ লাখ মেঃ টন লবণ অবিক্রিত আছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ