ফাল্গুন মাসে কৃষিতে যে যে ফসল চাষ করবেন এবং নিয়মিত যা যা করবেন তাই বর্ননা দেয়া হয়েছে এই আর্টিকেলে।
নাবী খরিফ-১ সবজির বীজতলা তৈরি, মাদাতৈরি, বীজ বপন, ঢেঁড়স, ডাঁটা লালশাক এর বীজ বপন। আগাম খরিফ- ১ সবজির চারা উৎপাদন ও মূল জমিতৈরি, সার প্রয়োগ ও রোপণ।
আলু, মিষ্টি আলু সংগ্রহ, রবি সবজির বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাগানের অন্যান্য ফসলের পরিচর্যা। আলু সংরক্ষণে বেশি যত্নবান হোন। এক্ষেত্রে জমিতে আলু গাছের বয়স ৯০ দিন হলে মাটির সমান করে সমুদয় গাছ কেটে গর্তে আবর্জনা সার তৈরি করুন। এভাবে মাটির নিচে ১০ দিন আলু রাখার পর অর্থাৎ রোপণের ১০০ দিন পর আলু তুলতে হবে।
এতে চামড়া শক্ত হবে ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়বে। ফল গাছের গোড়ায় রস কম থাকলে মাঝে মধ্যে সেচ প্রদান, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করা দরকার।
১/ এ সময় বৃষ্টি নির্ভর উফশী আউশ হিসাবে নিজামী (বি আর-২০), নিয়ামত (বি আর-২১) এবং রহমত (বি আর-২৪) জাতের চাষ করা যায়।
২/ ঝড় ও বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে পেঁয়াজ আগেই তোলা যেতে পারে।
৩/ পানির অপচয় রোধ ও সহজে চলাচলের জন্য সঠিকভাবে সেচ নালা তৈরি ও যথাসময়ে মেরামত করা।
৪/ পানির অপচয় কমাতে মাদা ফসল, যেমন-করলা ও লাউ চাষ করা।
৫/ খড়-কুটা, পাতা, আগাছ ও কচুরিপানা দ্বারা মাটির উপরের স্তরে মালচিং দিলে মাটির রস মজুদ থাকে। তাছাড়া মাটির উপরের স্তর ভেঙ্গে মালচিং করলে জমির রস সংরক্ষণ করা যায়।
৬/ দলীয়ভাবে অগভীর/গভীর নলকূপ ও পাওয়ার পাম্পচালু করার প্রস্তুতি নেয়া।
৭/ উপকূলীয় অঞ্চলে খেসারি, মুগ,ফেলন ডাল আবাদ করুন।
৮/ বরেন্দ্র অঞ্চলে রোপা আমনের ক্ষেতে কুল বাগান স্থাপন করা যেতে পারে।
৯/ পুকুর, জলাশয়, খাল ও ডোবায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখা।
১০/ গ্রীষ্মকালীন মুগডাল চাষ করুন।
১১/ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে সম্পূরক সেচের জন্য ক্ষেতের / মাঠের এক কোনে মিনি পুকুর খনন করুন।
১২/ বোরো ধানে উপরি সার প্রয়োগ করুন।
১৩/ উফশী আউশের আগাম বীজতলা তৈরী করুন।
১৪/ গম, সরিষা, ছোলা, তিষি, ভূট্টা ফসলে সেচ দিন।
১৫/ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গম কেটে শুকিয়ে সংরক্ষণ করুন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬ফেব্রু২০২০